Murder in Nadia: বিধবা মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আপত্তি, তাই কি মেয়েকে কুপিয়ে খুন?
Nadia Murder: এদিন দুপুরে ওই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসে স্থানীয় থানার পুলিশ। মৃত ওই কিশোরীর মাকে ইতিমধ্যেই একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
নদিয়া: মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেওয়াতেই কি বিপত্তি? সেই কারণেই কি খুন হতে হল মেয়েকে? ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের (Murder in Nadia) অভিযোগ উঠল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদা থানা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছে মেয়েকে। অভিযোগের তির ওই মহিলার প্রেমিকের দিকে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, এলাকাতেই একটি মাঠের মধ্যে ওই কিশোরীকে কোপায় অভিযুক্ত যুবক। এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকা থেকে পলাতক অভিযুক্ত ওই যুবক। এদিন দুপুরে ওই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসে স্থানীয় থানার পুলিশ। মৃত ওই কিশোরীর মাকে ইতিমধ্যেই একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর মায়ের সঙ্গে বিগত প্রায় বছর কয়েক ধরে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই নিয়ে মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের আপত্তিও ছিল। কিন্তু পরিবারের দাবি, সেই সব আপত্তির কোনও তোয়াক্কা করেননি ওই মহিলা। ওই যুবকের সঙ্গেই থাকতেন, তাঁর বাড়িতে রান্না-বান্না করে দিতেন। ওই যুবকের বাড়িতে রান্না করতে যাওয়ার বিষয়টি পছন্দ ছিল না মেয়ের। ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে রান্না করতে মাকে বারণ করেছিল মেয়ে। আর এই নিয়েই মা ও মেয়ের মধ্যেও অশান্তি লেগেছিল বলে অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের বয়স যখন তিন বছর, তখন ওই মহিলার স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর একাকী ওই মহিলার সঙ্গে এলাকারই এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এদিন ওই কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণীতে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। কী কারণে কিশোরীর মৃত্যু, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।