Nadia Flood Situation: ভাগীরথীতে বাড়ছে জলস্তর, প্রহর গুনছেন শান্তিপুরের একাংশ বাসিন্দা
Nadia Flood Situation: ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় ভাগীরথীতে জলস্তর বেড়েছে। গত তিন দিনে শান্তিপুরের ভাগীরথীতে হু হু করে জল বাড়তে শুরু করেছে।
নদিয়া: হু হু করে বাড়ছে ভাগীরথী নদীর জল (Flood Situation)। প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী তীরবর্তী নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) এলাকার বাসিন্দাদের।
ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় ভাগীরথীতে জলস্তর বেড়েছে। গত তিন দিনে শান্তিপুরের ভাগীরথীতে হু হু করে জল বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই প্রায় এক ফুট করে বাড়ছে জলস্তর। ইতিমধ্যেই শান্তিপুর স্টিমার ঘাট, মাঠপাড়া, বক্তার ঘাট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমি থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে।
আজ সকালেও ভাগীরথীতে জলস্তর বাড়ে। জলমগ্ন হয়ে পড়ে শান্তিপুর কালনা ঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা। সকাল থেকেই ভাগীরথী নদীতে আবারও নতুন করে হু হু করে জল বাড়ছে। কালনা ঘাটের বাসস্ট্যান্ড-সহ বেশ কয়েকটি চাষের জমিতে জল ঢুকে যায়। নিত্যযাত্রীদের নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার করতে হচ্ছে।
নদী পেরিয়ে নিত্য যাঁদের যাতায়াত, তাঁদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। ভাগীরথীতে জলস্তর না কমলে পুজোর আগেই বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নদিয়া-শান্তিপুরে।
যদিও দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমানো হয়েছে সোমবার সকালে । রবিবার সকালে ছাড়া হচ্ছিল ১,১২,১০০ কিউসেক জল । রবিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছিল ১,০৪,৪০০ কিউসেক জল । সোমবার সকালে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কমানো হয়েছে । সোমবার সকালে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ৬৮,৪০০ কিউসেক জল ।
নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় কমানো হচ্ছে জল ছাড়ার পরিমাণ । সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ। ৫০,০০০ কিউসেকের নীচে জল ছাড়ার পরিমাণ হলেই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
অন্যদিকে হুগলির খানাকুল, আমতার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দু’মাস আগে আমতা দু’নম্বর ব্লকের যে সমস্ত গ্রামগুলো সম্পূর্ণ জলের তলায় ছিল, এবারে সেই সমস্ত গ্রামে আংশিক জল ঢুকেছে। তবে সে অর্থে জলস্তর বাড়েনি। যদিও এই এলাকায় চাষের জমির প্রায় পুরোটাই জলের তলায়।
আমতার তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত পাল রামপুর খালে বাঁধ দেওয়ার ব্যাপারে তদারকি করছেন। এই খাল দিয়ে এই এলাকায় বন্যার জল ডুকছে। রামপুর খালের বাঁধগুলোতে নিজে তদারকি করে মাটির বস্তা ফেলে কোনওক্রমে জল আটকাচ্ছেন বিধায়ক।
তবে কবে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি হবে, প্রহর গুনছেন গ্রামবাসীরা। গোঘাটের ভাদুরে দারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙেছে ইতিমধ্যেই। রাতে হু হু করে জল ঢোকে আরামবাগ শহরে। সরকারি ভবনে বন্যার জল ঢুকেছে। বসতবাড়িতেও জল ঢুকেছে। বন্যায় একপ্রকার এলাকাছাড়া পঞ্চায়েত প্রধান।
পঞ্চায়েত প্রধানেরই আশ্রয় হয়েছে অপেক্ষাকৃত উঁচু রাস্তার ধারের ত্রিপলের নীচে। রাজহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সমীর প্রামাণিকের এখন পরিবার নিয়ে অস্থায়ী আশ্রয় খোলা আকাশের নীচে। তবে তাঁর কথায়, ‘এখনে থাকতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: West Bengal School: পুজোর পরই কি তাহলে খুলছে স্কুল? আরও এক ধাপ এগোল বিকাশ ভবন