AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: চিপস খাওয়ার জন্য কেঁদেছিল ১৪ মাসের শিশু, খেল গুলি! নদিয়ায় মর্মান্তিক ঘটনা

Nadia: এক্স-রে করে দেখা যায়, ওই পাঁচটি গুলি শিশুটির পাকস্থলীতে আটকে রয়েছে। চিকিৎসকরা শিশুটিকে কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

Nadia: চিপস খাওয়ার জন্য কেঁদেছিল ১৪ মাসের শিশু, খেল গুলি! নদিয়ায় মর্মান্তিক ঘটনা
শিশুর পেটে চলে গেল প্লাস্টিকের গুলি (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 2:20 PM
Share

নদিয়া: চিপসের প্যাকেটের ভিতর অনেক সময়ই বাচ্চাদের মন ভোলানোর জন্য দেওয়া থাকে গিফট। আর সেই ধরনের প্যাকেটজাত চিপস ছেলেকে কিনে দিয়েই বিপদে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের টোটোচালক রাজীব মণ্ডল। ১৪ মাসের ছেলের পেটে চলে গেল খেলনা বন্দুকের ‘গুলি’।

নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সত্যনগরের বাসিন্দা রাজীব। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ মাসের শিশু রুদ্র চিপস খাওয়ার জন্য কান্না করে। তার ঠাকুমা পাশের একটি দোকান থেকে চিপসের প্যাকেট কিনে দেন।

সেই প্যাকেটের ভিতরেই ছিল খেলনা বন্দুক। সেই সঙ্গে ছিল ছোট্ট ছোট্ট ছটি প্লাস্টিকের গুলি। পরিবারের সদস্যরাই শিশুটির হাতে প্যাকেট ছিড়ে দেন। গুলি খেয়ে ফেলে শিশুটি। আচমকাই শিশুটির দিকে চোখ পড়ে তার ঠাকুমার। তিনি তখন তার মুখে একটি গুলি দেখতে পান।

গুলিটি তখন তার জিভের ওপর ছিল। সঙ্গে সঙ্গেই মুখের ভিতর আঙুল ঢুকিয়ে গুলি বার করে আনেন তার ঠাকুমা। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, প্যাকেটে থাকা বাকি গুলি খেয়ে ফেলেছে শিশুটি। তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে তাঁরা কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান।

সমস্ত বিষয় জানার পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দেন। প্রাথমিক ওষুধ দেওয়া হয়। মলের সঙ্গে সেই প্লাস্টিকের গুলি বের হচ্ছে কিনা, তা খেয়াল রাখতে বলা হয়। কিন্তু সেইরকম কিছুই হয় না।

শিশুটিকে পরিবারের সদস্যরা ফের মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। এক্স-রে করে দেখা যায়, ওই পাঁচটি গুলি শিশুটির পাকস্থলীতে আটকে রয়েছে। চিকিৎসকরা শিশুটিকে কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, শিশুটিকে বর্তমানে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

শিশুটির বাবা বলেন, “আমার ছেলে খুবই কান্না করছিল। আমার মা ভোলানোর জন্য চিপসের প্যাকেট কিনে দেয়। চিপসের প্যাকেটের ভিতরেই খেলনা ছিল। প্লাস্টিকের গুলি। আমার ছেলে সেগুলো খেয়ে ফেলেছে। ডাক্তার বললেন, প্লাস্টিকের গুলিগুলো ওর পাকস্থলীতে আটকে গেছে। এখন কীভাবে কী করব, বুঝতে পারছি না কিছুই।”

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শিশুটির মা ও ঠাকুমা। নিজেকেই দুষছেন শিশুটির ঠাকমা। বারবারই তিনি বলছেন, “আমারই একবার দেখা উচিত ছিল। কিন্তু কীভাবে বুঝব প্যাকেটের মধ্যে এইভাবে প্লাস্টিকের খেলনা দিয়ে দেবে। খেলনা তো চিপসের সঙ্গেই মিশে ছিল। যে কারোর সঙ্গেই এই ঘটনা ঘটে যাবে। চিপসের প্যাকেটের গায়েও কিছু লেখা ছিল না। ফলে কারোর পক্ষে সম্ভবও নয় বোঝা যে ওই প্যাকেটের ভিতর প্লাস্টিকের খেলনা রয়েছে। বাচ্চাদের হয়তো ভাল লাগবে। কিন্তু এটা খুবই বিপজ্জনক। এরকম খেলনা কোম্পানিদের না বের করাই উচিত। অন্তত বাচ্চাদের সুরক্ষার কথা ভেবে।”

আরও পড়ুন: Midland Nursing home: অঙ্গ বিক্রির মামলায় মৃত্যুর ৫ মাস পর গৃহবধূর ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ আদালতের