Nadia: তরুণী আর তাঁর প্রেমিকের মাঝে অন্য কেউ? কৃষ্ণনগরকাণ্ডে উঠে আসছে অন্য তত্ত্ব
Nadia: এর মধ্যে উঠে আসছে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের কথাও। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তরুণীর প্রেমিক অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আর সে কারণেই কি এই ঘটনা? তরুণীর মোবাইলে অভিযুক্ত প্রেমিকের নম্বর 'হাজব্যান্ড' বলে সেভ করা হয়েছে।
নদিয়া: কৃষ্ণনগরে তরুণী মৃত্যুতে পরতে পরতে রহস্য। এসপি জানাচ্ছেন, যেখান থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানেই কেরোসিন তেলের বোতল পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য় উঠে এসেছে। ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি প্রাথমিক রিপোর্টে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জীবিত অবস্থায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। অ্যাসিড নয়, শরীরে পাওয়া গিয়েছে কেরোসিনের গন্ধ। পুলিশ সুপার অমর কে নাথ বলেছেন, “একটা প্লাস্টিকের বোতল পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে লাইট ব্লুইশ কালারের লিকিউড রয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে। ১৫ তারিখে তরুণীর গতিবিধি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজ, কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে। ১৫ তারিখ অনেক বন্ধুর সঙ্গেই কথা বলেছিলেন তরুণী।”
এর মধ্যে উঠে আসছে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের কথাও। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তরুণীর প্রেমিক অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আর সে কারণেই কি এই ঘটনা? তরুণীর মোবাইলে অভিযুক্ত প্রেমিকের নম্বর ‘হাজব্যান্ড’ বলে সেভ করা হয়েছে। তরুণীর ফেসবুক প্রোফাইলেও লেখা রয়েছে ‘ম্যারেড’। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রেমিক। যে তরুণী মৃতা ও অভিযুক্তের ‘কমন ফ্রেন্ড’। অন্য তরুণীর সঙ্গে প্রেমিকের ঘুরতে যাওয়াই কি ঝামেলার কারণ? সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ১৬ অক্টোবর কৃষ্ণনগরে পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরেই একটি প্যান্ডেলের সামনে থেকে ওই তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। মুখ পুরো ঝলসে গিয়েছিল। পরিবারের তরফ থেকে প্রথমে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তদন্ত যত এগোতে থাকে পরতে পরতে রহস্য দানা বাঁধতে থাকে।