Nadia TMC Leader Murder: নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনে এখনও দায়ের হয়নি অভিযোগ, নওদা যাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা
Nadia TMC Leader Murder: তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা নিহতের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নওদা থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন, সেখানে গিয়ে অভিযোগ দায়ী করা হবে এমনটাই সূত্রের খবর।
নদিয়া: নওদার খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দায়ী করা হয়নি। তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা নিহত তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নওদা থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেখানে গিয়ে সকালেই অভিযোগ দায়ের করবেন বলে খবর। এই ঘটনার নেপথ্যএ গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠে আসছে। বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, “গত বিধানসভা নির্বাচনে আমি নারায়ণপুর ১ ও ২ থেকে লিড পেয়েছিলাম। ২০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলাম। তৃণা সাহা ভৌমিক জেলা পরিষদের সদস্যা বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছিলেন। তিনি মতিরুলকে বলেছিলেন চুপচাপ বসে থাকতে। কিন্তু তা শোনেননি। সেই থেকেই শত্রুতা। ইট ভাটা নিয়ে গন্ডগোল হয়। হাবিব বলে একজন ব্লক সভাপতি এর সঙ্গে রয়েছে।” অর্থাৎ এর নেপথ্যে জেলা পরিষদের সদস্য, হাবিবের নাম উঠে আসছে। ইটভাটার দখল নিয়েই বিবাদের জেরে খুন বলে অভিযোগ করছেন সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক মিঠু সাহু। তিনি বলেন, “আমাদের জেলা পরিষদের সদস্যা তৃণা সাহা ভৌমিক আর হাবিবের শেয়ার রয়েছে ওই ইটভাটায়। তাঁরাই চক্রান্ত করে এসব করেছেন। হাবিব নদিয়া ক্রিমিন্যাল।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কাজে মুর্শিদাবাদের নওদায় গিয়েছিলেন নদিয়ার নারায়ণপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামী মতিরুল ইসলাম। মতিরুল নিজেও করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন। ছেলে নওদার একটি বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে সে। তাকে দেখতে মাঝেমধ্যেই নওদায় যেতেন মতিরুল। পুলিশের অনুমান দুষ্কৃতীরা মতিরুলের গতিবিধি সম্পর্কে সম্যকভাবে জানত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সে সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকায়। প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তারপর তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় বাইক থেকে পড়ে গেলে এলোপাথাড়ি গুলি করা হয়। গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উঠে আসছে একাধিক জনের নাম। পরিবার এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কারোর নামে অভিযোগ দায়ের করেনি। শুক্রবার সকালে মতিরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নওদা থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিধায়ক তাপস সাহা।