Mamata Banerjee: ‘আমি তখন সেকেন্ড ব্রিজে, ফোন আসে…ভীষণভাবে চাপ তৈরি হয়, বলা হয় ইউ হ্যাভ টু ডু ইট’, নেওয়া হয়েছিল মমতাকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
Mamata Banerjee: নয়ের দশকের শেষে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সীতারাম কেশরী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন ৷ সে সময়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোমেন মিত্র। তাই সেই ঘোষণার দায়ভার বর্তায় সোমের মিত্রেরও ওপরে।
কলকাতা: “মমতাকে বহিষ্কারের প্রায়শ্চিত্ত আজও করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।” প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়েই এমনই আফসোস প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের গলায়। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, “সোমেন মিত্রর ওপর চাপ তৈরি হয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। বাধ্য হয়ে মমতাকে বহিষ্কার করেছিলেন সোমেন।”
নয়ের দশকের শেষে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সীতারাম কেশরী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন ৷ সে সময়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোমেন মিত্র। তাই সেই ঘোষণার দায়ভার বর্তায় সোমের মিত্রেরও ওপরে। শনিবার প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। আর তাতে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। সেদিনকার পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে বলেন, “আমার মনে আছে, যেদিন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে বহিষ্কার করা হল। আমি সেদিন শ্রীরামপুর থেকে ফিরছিলাম, আমি তখন শ্রীরামপুরের সাংসদ। আমি যখন সেকেন্ড ব্রিজের কাছে, তখন সোমেন মিত্রের ফোন এল আমার কাছে। আমাকে বললেন, সীতারাম কেশরী বলেছিলেন, ইউ হ্যাভ টু ডু ইট। ওকে তোমাকে বহিষ্কার করতেই হবে। কারণ আমরা করেছি। আমি সোমেনকে বলেছিলাম, তুমি করো না, কিছুতেই করো না। কিন্তু সোমেনের ওপর তখন এমন চাপ তৈরি করা হয়েছিল, তা করতে বাধ্য হল। প্রায়শ্চিত্তটা তাই কংগ্রেস দলকে আজও করতে হচ্ছে। আমরা জানি না এই খাদ থেকে কবে কীভাবে উঠব?”
প্রবীণ কংগ্রেস নেতার গলায় এহেন সুরে স্বাভাবিকভাবেই চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবেন, সেটা তাঁকে ঠিক করতে হবে। এই রাজীব গান্ধী না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী হতেন না। সোনিয়া গান্ধী না থাকলে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতেন না। সেই কংগ্রেসকে খতম করার জন্য এই বাংলায় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” অধীরের কটাক্ষ, “আজকে কারোর আফসোস হতে পারে, কারণ সামনে রাজ্যসভার ভোট রয়েছে।”