Nadia: ভোট চলাকালীন বিকট শব্দ, সকলে বেরিয়ে এসে দেখে রক্তে ভাসছেন মহিলা…
Nadia: চিকিৎসক সঞ্জয় রায়চৌধুরীর বক্তব্য, কোনও গাফিলতিই হয়নি। দুর্ঘটনাগ্রস্তকে আনার সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়, ড্রেসিং করানো হয়। প্রয়োজনীয় ইনজেকশনও দেওয়া হয়। কিন্তু ওই মহিলার ইন্টারনাল হেমারেজ হয়। সে কারণেই এমনটা হয়েছে। রেফার করা হলেও রোগী নিয়ে যেতে পারেননি বলেও দাবি করেন তিনি।
নদিয়া: ভোট দিয়ে ফেরার পথে মহিলার মৃত্যু। এই ঘটনাকে সামনে রেখে ভোট চতুর্থীর দিন উত্তপ্ত হল বেথুয়াডহরি হাসপাতাল। ৬১ বছরের রানু সাহা ভোট দিয়ে সোমবার বাড়ি ফিরছিলেন। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন তিনি। খিদিরপুর মধ্যপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, সেই সময় একটি বাইক এসে সজোরে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন রানু। এরপরই তাঁকে উদ্ধার করে বেথুয়াডহরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে এই মহিলার।
খিদিরপুর মধ্যপাড়ার এক বাসিন্দা সনৎ পাল বলেন, “দুপুর তখন ৩টে সাড়ে ৩টে। আমরা রাস্তার ধারেই বুথে বসেছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। ছুটে রাস্তার ওপাশে গিয়ে দেখি একজন মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছটফট করছেন। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়েও যাই। সেখানে একজন বয়স্ক চিকিৎসক ছিলেন। তিনি কোনও কথাই বললেন না। ১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখলেন। তারপর বলছেন রেফার করে দিচ্ছি। এরপরই চেপে ধরে বলি পালস আছে কি না সেটা বলুন। তখন উনি বলেন ওই মহিলা মারা গিয়েছেন।”
যদিও চিকিৎসক সঞ্জয় রায়চৌধুরীর বক্তব্য, কোনও গাফিলতিই হয়নি। দুর্ঘটনাগ্রস্তকে আনার সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়, ড্রেসিং করানো হয়। প্রয়োজনীয় ইনজেকশনও দেওয়া হয়। কিন্তু ওই মহিলার ইন্টারনাল হেমারেজ হয়। সে কারণেই এমনটা হয়েছে। রেফার করা হলেও রোগী নিয়ে যেতে পারেননি বলেও দাবি করেন তিনি। তবে পরিবারের লোকজন তা মানতে নারাজ। চিকিৎসককে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।