Suvendu Adhikari: বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগে গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়িতে শুভেন্দু
TMC - BJP tussle in Gayeshpur: দুই বিজেপি কর্মীকে যারা মারধর করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা। যতক্ষণ পর্যন্ত না অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ তিনি পুলিশ ফাঁড়িতে বসে থাকবেন বলে হুঙ্কার দেন।
গয়েশপুর (নদিয়া) : গয়েশপুরে বিজেপির চায়ে পে চর্চায় (Chai pe Charcha) উত্তেজনা। অর্জুন সিংয়ের উপস্থিতিতে বিজেপির চায়ে পে চর্চায় তৃণমূলের বিক্ষোভ। ঘটনায় উত্তেজনা, দুই দলের কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ওই ধস্তাধস্তির সময় দুই বিজেপি কর্মীকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওই দুই বিজেপি কর্মীকে যারা মারধর করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা। যতক্ষণ পর্যন্ত না অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ তিনি পুলিশ ফাঁড়িতে বসে থাকবেন বলে হুঙ্কার দেন। পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং পুলিশের তরফে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতারির আশ্বাস দেওয়া হলে পুলিশ ফাঁড়ি ছাড়েন শুভেন্দু।
কয়েকদিন আগেও একই ধরনের হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে গয়েশপুরে বিজেপির কর্মীদের একটি বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে একদল দুষ্কৃতীর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রিত। গয়েশপুরে দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছিল বিধায়ক সহ বিজেপি নেতাদের গাড়ি। থানায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে গিয়েছিল। শনিবার পুনরায় বিজেপির চা পে চর্চা অনুষ্ঠান ছিল ওই গয়েশপুর এলাকায়। সেখানে আবারও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সেই সময় চায়ে পে চর্চায় উপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পুলিশি মদতেই হামলার অভিযোগ শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “গত ১৮ তারিখ জেলা সভাপতি এবং বিধায়কের নেতৃত্বে পুর নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছিল, মাত্র ২০-২৫ জন কর্মীকে নিয়ে, তখন যারা এই এলাকায় বিগত দিনে সিপিএমের পতাকা ধরে অত্যাচার করত, তারা এখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। তাদের ট্রাডিশন একই রয়েছে। পার্টি অফিসে হামলা হয়েছে। কার্যত পুলিশের উপস্থিতিতে এবং মদতে গুন্ডাদের হাতে চলে গিয়েছিল গয়েশপুর। এই লড়াই শুধু গয়েশপুরের একার লড়াই নয়। গোটা বিজেপি পরিবার তাদের সঙ্গে রয়েছে।”
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শনিবার যখন গয়েশপুরের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল।শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা থেকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করতে গয়েশপুরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় রাজ্যের পাঠানো নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের ট্যাবলো দিল্লিতে জায়গা না দেওয়ায় বিরোধী দলনেতার গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। এই ঘটনায় বারাকপুরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন ওয়ারলেস মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশকে রীতিমত হিমসিম খেতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: কেন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে গরহাজির জেলাশাসকরা? প্রশ্ন তুলে তোপ শুভেন্দুর