Mukut Mani Adhikari: মুকুটে কত মণি মুকুটমণির?
Mukut Mani Adhikari: হলফনামায় স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী সম্পর্কে মুকুটমণি জানিয়েছেন, তাঁরা আলাদা থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা চলছে। হলফনামায় স্ত্রীর আয়ের কোনও হিসেব দেননি মুকুটমণি।
নদিয়া: পেশায় চিকিৎসক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ছিলেন বিজেপির প্রার্থী। রানাঘাট কেন্দ্র থেকে জেতেনও। কিন্তু, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই ফুল-বদল করেন। এবার রানাঘাট কেন্দ্র থেকে সেই মুকুটমণি অধিকারীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বছর চৌত্রিশের মুকুটমণি নির্বাচনী হলফনামা পেশ করেছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসা মুকুটমণির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কত? পড়াশোনাই বা কতদূর? কী বলছে তাঁর নির্বাচনী হলফনামা?
নির্বাচনী হলফনামায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়ের হিসেব দিয়েছেন মুকুটমণি। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৪০ টাকা। আর ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৯০ টাকা আয় করেছিলেন তিনি। ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা আয় করেছিলেন ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। তার আগের অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০১৯-২০-তে আয় ছিল ৮ লক্ষ ৭০ হাজার ৭৪০ টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে মুকুটমণির আয় ছিল ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৪০ টাকা।
হলফনামায় স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী সম্পর্কে মুকুটমণি জানিয়েছেন, তাঁরা আলাদা থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা চলছে। হলফনামায় স্ত্রীর আয়ের কোনও হিসেব দেননি মুকুটমণি।
রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কত?
হলফনামায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। একটি মহিন্দ্রা স্করপিও গাড়ি রয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর। ২০১৯ সালে ১৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকায় কিনেছেন। এক বছর পর আরও একটি গাড়ি কেনেন তিনি। যার দাম ১০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। মোট ১৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার সোনার গয়না রয়েছে মুকুটমণির। সবমিলিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৪০ টাকা।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে একাধিক চাষযোগ্য জমি রয়েছে। সবমিলিয়ে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৯০০ টাকা। আর তাঁর ঋণের পরিমাণ ২ লক্ষ ১৩ হাজার ২৭৫ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে চিকিৎসা পেশা ও বিধায়ক থেকে পাওয়া ভাতার কথা উল্লেখ করেছেন মুকুটমণি। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে SSKM থেকে MBBS পাশ করেছেন।
উনিশের নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে মুকুটমণিকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, রাজ্য সরকারি হাসপাতালের কাজ থেকে ছাড় পাননি তিনি। তারপরই জগন্নাথ সরকারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির। রানাঘাট থেকে জেতেন তিনি। চব্বিশের নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রে জগন্নাথকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। তারপরই তৃণমূলে যোগ দেন মুকুটমণি। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
আগামী ১৩ মে রানাঘাট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ফল ঘোষণা ৪ জুন। শেষপর্যন্ত এই আসনে কে বাজিমাত করবেন, তা জানতে ততদিন অপেক্ষা করতে হবে।