‘জয় শ্রীরাম’-এ আপত্তি নেই, কিন্তু দেশপ্রেমের প্রমাণ কেন দিতে হবে? প্রশ্ন ফিরহাদের
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার এক ঝাঁক তৃণমূল নেতৃত্ব।
হুগলি: “ফিরহাদ হাকিমকে কেন দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হবে? প্রমাণ তাঁদের দিতে হবে যারা লুকিয়ে লুকিয়ে পাকিস্তানে যায়।” হুগলির ফুরফুরা শরিফে উপস্থিত হয়ে নাম না এভাবেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের পুর মন্ত্রী। তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, “যারা জয় শ্রীরাম (Jai Sree Raam) বলেন বা মানেন তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মারপিট করার জন্য নয়, জয় শ্রীরাম আত্মার শুদ্ধিকরণের জন্য বলা উচিত”, এমনটাই বলেছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
এদিন ফুরফুরার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার এক ঝাঁক তৃণমূল নেতৃত্ব। পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির উদ্যোগে দুঃস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা ফুরফুরা শরিফে আসি আবু বক্কর সিদ্দিকির টানে।
আরও পড়ুন: ‘চাই ৪৪ আসন’, আব্বাসের আবদার মেটাতে আলোচনা চান বিমান
তিনি বলে চলেন, “একদিকে ছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব, আরেকদিকে আবু বক্কর সিদ্দিকি। এটা আমাদের বাংলা। ফুরফুরা শরিফের সংস্কৃতি। জয়শ্রী রাম বললে কোনও অসুবিধা নেই। আল্লা বা ভগবানকে ডাকা হয় নিজের মনকে সুদ্ধ করার জন্য। এটাই বাংলা। হুজুররা কোনও এক শ্রেণির মানুষের জন্য দোয়া চান না, সবার জন্য চান। হুজুররা মানব সেবা করবেন, এটাই শিখিয়ে গেছেন আবু বক্কর সিদ্দিকি।”
আরও পড়ুন: বেহালায় শোভন-বৈশাখীর রোড শো, পালটা মিছিলে ‘নবদম্পতি’ খোঁচা রত্নার