Bhatpara Bombing: তোলা না পেয়ে খাটালে বোমা ছোড়ার অভিযোগ, ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া
Bhatpara Bombing: যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে, তার চতুর্দিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা সত্যিই ভাববার বিষয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনা: ফের ভাটপাড়ায় বোমাবাজি। বুধবার সকালে ভাটপাড়া ১৮ নম্বর গলিতে একটি গরুর খাটালে বোমা ছুড়েছে দুষ্কৃতীরা। ভোর রাতে বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, তোলাবাজির জন্যই বোমাবাজি হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ। যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে, তার চতুর্দিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা সত্যিই ভাববার বিষয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বোমার আঘাতে আহত হয়েছে একটি গরু। পশু চিকিৎসক এসে তার চিকিৎসা করাচ্ছে।
খাটালের মালিক বলেন, “রাতে তখন আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আচমকাই বোমাবাজির আওয়াজ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পর আমরা ঘর থেকে বের হই। দেখি খাটালের সামনে বোমাবাজি হয়েছে। আমাদের একটা গরুও রক্তাক্ত হয়েছে। এলাকায় শান্তি চাই।”
মাঝেমধ্যেই বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া এলাকা। গত সপ্তাহেই বোমাবাজি হয়। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বারুই পাড়ার ২১ নম্বর গলিতে বোমাবাজি হয়। ওই এলাকায় প্রচুর মদের ঠেক গজিয়ে উঠেছে। একাধিকবার ঠেক উচ্ছেদের দাবিতে থানায় স্মারকলিপি জমা দিয়েও কাজ হয়নি। রাতে ঠেকের সামনে রাস্তায় বসে মদ্যপানের প্রতিবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
টপাড়া থানার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এই বোমাবাজি হয়। চারজন বোমার আঘাতে জখমও হন। কাঁকিনাড়া ১০ নম্বর গলিতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়। বোমাবাজিতে হরেকৃষ্ণ চৌহান নামে ৫৮ বছর বয়সী এক প্রৌঢ় জখম হন। এছাড়া হীরা সাউ, রঘুনাথ চৌধুরী-সহ আরও একজন আহত হন।