WBCS Scam: ৭ দিনেই মিলবে WBCS-র চাকরি! ব্যারাকপুরে বড় চক্র
WBCS Training Centre Scam: গত কয়েকদিনে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থী ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের থেকে প্রশিক্ষণ বাবদ বেশ মোটা টাকিয়ে হাতিয়েছেন অভিযুক্তরা। অবশ্য, এই প্রসঙ্গে ওই চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা মুখ খুলতে নারাজ।

উত্তর ২৪ পরগনা: সাতদিনের মধ্যে হয়ে যাবেন WBCS অফিসার, এই টোপ দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সুদূর গ্রাম থেকে টেনে আনতেন অভিযুক্তরা। এমনকি, ব্যারাকপুরে সাত দিনের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও খুলে ফেলেছিল তাঁরা। প্রশাসন, পুলিশ কিংবা সেনায় যে কোনও পদে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
কিন্তু প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার দিন কয়েকের মাথায় সেখানে হানা দিল পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ফোন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই ‘ভুয়ো’ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অভিযান চালায় ব্যারাকপুরের শিউলি এলাকার মোহনপুর থানার পুলিশ। রাতের অন্ধকারেই ‘ভুয়ো’ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে তাঁরা। গ্রেফতার করা হয় গোপাল দাস ও নির্মল মাইতি নামে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দুই মাথাকে।
বলে রাখা ভাল, এই নির্মল মাইতি পেশায় অবসরপ্রাপ্ত জওয়ান। আর সেনার কাজ শেষে তিনি শুরু করেছিলেন এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সাতদিনের মধ্যে WBCS, পুলিশ, সেনার নানা পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখাতেন পড়ুয়াদের। সেই সূত্র ধরেই ব্যারাকপুরের ওই শিউলি এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলেন তিনি। কিন্তু সূচনার দিন কয়েকের মাথায় ‘স্বপ্নভঙ্গ’।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থী ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের থেকে প্রশিক্ষণ বাবদ বেশ মোটা টাকিয়ে হাতিয়েছেন অভিযুক্তরা। অবশ্য, এই প্রসঙ্গে ওই চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা মুখ খুলতে নারাজ। এদিন শিউলির পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, ‘আমি জানতাম সেনা তৈরির প্রশিক্ষণ হয় ওখানে। কিন্তু গতকাল জানতে পারলাম, ওই কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর এই সব ভুয়ো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যে শুধুই এখানে রয়েছে, এমনটা তো নয়। একাধিক জায়গায় এই চক্র ছড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে ছেলেমেয়েগুলোর ভবিষ্যৎ শঙ্কার মুখে পড়বে।’
