Barrackpur: খেতে দিয়ে পোষ্য ছাগলের সঙ্গেই জামাইয়ের অস্বাভাবিক আচরণ, সেটাই ধরিয়ে দিল শাশুড়ির সঙ্গে ঠিক কী করেছিলেন তিনি?
Barrackpur: গত ২৩ তারিখ বাড়ি থেকেই ফুলজানের গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল মেঝে। মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথম তাঁকে দেখেছিলেন তাঁর মেয়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে জেঠিয়া থানার পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনা: তদন্তে বাড়িতে এসেছে পুলিশ। সেই সময়েই ঘরের পোষ্য ছাগলকে খাওয়াচ্ছিলেন বাড়ির জামাই। তাঁর অস্বাভাবিক আচরণ চোখ এড়ায়নি তদন্তকারীদের। ছাগলের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ, এদিকে নির্লিপ্ত হাবভাব! সেটাই হল কাল। শাশুড়ি খুনে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন জামাই। ঘটনাটি ঘটেছে কাছড়াপাড়ার জেঠিয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ফুলজান বিবি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ তারিখ বাড়ি থেকেই ফুলজানের গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল মেঝে। মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথম তাঁকে দেখেছিলেন তাঁর মেয়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে জেঠিয়া থানার পুলিশ।
এরপর তদন্তে বাড়িতে ফুলজান বিবির বাড়িতে আসে পুলিশ। মেয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন তদন্তকারীরা, তখন বাড়িতে পোষ্য ছাগলকে খেতে দিচ্ছিলেন জামাই আখের আলি। তাঁর আচরণে অস্বাভাবিকত্ব কিছু একটা লক্ষ্য করেছিলেন। ছাগল খাওয়ানোর নামে অস্বাভাবিক আচরণেই পুলিশের সন্দেহ হয়। তারপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের দাবি, তদন্তের মুখে খুনের কথা স্বীকার করেন আখের। ফুলজান বিধবা ভাতার ১০ হাজার টাকা জমিয়েছিলেন। সেই টাকাই নিতে চেয়েছিলেন আখের। তা নিয়েই শাশুড়ির সঙ্গে জামাইয়ের অশান্তি। আর অশান্তির মাঝেই ফল কাটার ছুরি দিয়ে শাশুড়িকে খুন করে আখের।