Human Trafficking: হাতে পুটলি, চোখেমুখে একটা অস্থিরতা, স্বাধীনতা দিবসের পর দিনই ভারতীয় সীমান্তবাহিনীর যে রূপ দেখলেন বাংলাদেশি মহিলা

Human Trafficking: মহিলার কথায় উঠে আসে মানব পাচারের আরও এক চক্রের কথা। মহিলার বাড়ি বাংলাদেশের যশোহর জেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামে।

Human Trafficking: হাতে পুটলি, চোখেমুখে একটা অস্থিরতা,  স্বাধীনতা দিবসের পর দিনই ভারতীয় সীমান্তবাহিনীর যে রূপ দেখলেন বাংলাদেশি মহিলা
বাংলাদেশি মহিলাকে ঘরে ফেরাল বিএসএফ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 1:13 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: হাতে একটা পুটলি। মাথায় ওড়না, পরনে সালোয়ার কামিজ। বয়স প্রায় পঞ্চাশের কোঠায় হবে। মহিলাকে কাঁটা তার ঘেঁষে ইতঃস্তত ঘুরতে দেখেছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা। চোখেমুখে তাঁর একটা অদ্ভুত আতঙ্কের ছাপ। তাঁকে দেখতে পেয়েই প্রশ্ন করেছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তাতেই বেরিয়ে আসে আসল কারণ। জানা যায়, ওই মহিলা আসলে পাচার হয়ে গিয়েছিলেন ভিন রাজ্যে। বাড়ি বাংলাদেশে। কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবক তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন মুম্বইতে। সেখানে তাঁকে দিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসার কাজে লাগিয়েছিলেন। সেই ডেরা থেকেই পালিয়ে এসেছেন মহিলা। স্বাধীনতা দিবসের পরের দিনই সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের হাত ধরেই বাড়ি ফিরলেন তিনি। বসিরহাট জেলার স্বরূপনগর সীমান্তে বিএসএফের ১১২নং নাগা ব্যাটলিয়নে কর্মরত অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের ইন্সপেক্টর আদিত্য নারায়ণ সোমবার রাতে হাকিমপুর সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। সে সময় দেখতে পান সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সন্দেহজনক ভাবে ওই মহিলা ঘোরাঘুরি করছেন।

মহিলার কথায় উঠে আসে মানব পাচারের আরও এক চক্রের কথা। মহিলার বাড়ি বাংলাদেশের যশোহর জেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামে। তাঁকে আটক করে হাকিমপুর বিওপি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।

যারা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মানব পাচার প্রতিরোধের কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। সংগঠনের কর্মী আরিফ বিল্লা গাজি, বিএসএফ-এর ইন্সেপেক্টর আদিত্য নারায়ণ, কোম্পানি কমান্ডার দামান সিং যাদব ও বিএসএফের অন্যান্য আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জানা যায়, গত দু’মাস আগে রাজু নামক এক যুবক কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁকে মুম্বাইয়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে ওই বধূকে এক নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে তাঁকে সেখানেই আটকে রাখা হয়। কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

বিভিন্নভাবে সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। বিএসএফের তরফে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশের মহিলা আইনজীবী সংগঠনের সঙ্গে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলার পর ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ হয়। তারপর মঙ্গলবার ওই মহিলাকে বিজিবির এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।