Baduria: রাস্তা আটকে ব্যবসায়ী ও সঙ্গীদের ‘অপহরণ’, মুক্তিপণ দাবি করে ফোন, তারপর…
Businessman kidnapped: অভিযোগ, গোবরডাঙা যাওয়ার পথে তাঁদের গাড়ি আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁদের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে। এবং তাঁদের কাছে থাকা হাজার চল্লিশেক টাকা ছিনিয়ে নেয়। অভিযোগ, এরপর মুবিন মণ্ডলের বাড়িতে ফোন করে দুষ্কৃতীরা। জানায়, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। টাকা দিলে ছাড়া হবে।

বাদুড়িয়া: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণের দাবি। নগদ এবং অনলাইনে ২ লক্ষ ষাট হাজার টাকা নেওয়ার পরও মারধরের অভিযোগ। ব্যবসায়ী-সহ জখম মোট চারজন। তার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে ব্যবসায়ী ও আর একজনকে। এদিকে, অপহরণকারীদের ইনফর্মার সন্দেহে গ্রামের এক যুবককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার নওপাড়া গ্রামের শিমুলতলা এলাকার।
আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম মুবিন মণ্ডল। বাড়ি নওপাড়া শিমুলতলা এলাকায়। ব্যবসার সূত্রে গতকাল তিনি গোবরডাঙা যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন ব্যবসায়ী। অভিযোগ, গোবরডাঙা যাওয়ার পথে তাঁদের গাড়ি আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁদের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে। এবং তাঁদের কাছে থাকা হাজার চল্লিশেক টাকা ছিনিয়ে নেয়। অভিযোগ, এরপর মুবিন মণ্ডলের বাড়িতে ফোন করে দুষ্কৃতীরা। জানায়, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। টাকা দিলে ছাড়া হবে। দুষ্কৃতীদের কথামতো অনলাইনে চার ধাপে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া হয়।
সেই টাকা পাওয়ার পরও ব্যবসায়ী-সহ চারজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আরও টাকা চাওয়া হয়। এবার মুবিন মণ্ডলের একজন আত্মীয় এক লক্ষ টাকা নিয়ে যান ঘটনাস্থলে। সেই এক লক্ষ টাকা নেওয়ার পরও দুষ্কৃতীরা সবাইকে মারধর করে। এমনকি, যিনি টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকেও মারধর করা হয়। এরপর গভীর রাতে সবাইকে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সবমিলিয়ে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দুষ্কৃতীরা নিয়েছে বলে অভিযোগ।
মুবিন মণ্ডলরা এলাকায় ফিরে আসার পর তাঁদের প্রথমে বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মুবিন মণ্ডল ও আরও একজনকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ২ জনের চিকিৎসা চলছে। বাদুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ব্যবসায়ীর পরিবার। অন্যদিকে, গ্রামেরই এক যুবককে দুষ্কৃতীদের ইনফর্মার সন্দেহে স্থানীয় বাসিন্দারা মারধরে করে। বাদুড়িয়া থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। ব্যবসায়ীদের অপহরণের অভিযোগ নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চায়নি পুলিশ। রাজ মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা চাই, পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক। আর ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ব্যবসায়ীর পরিবারকে ফেরত দিক।”
