‘মাস্ক পরলে দমটা বন্ধ লাগছে’, ‘পকেটে রয়েছে মাস্ক’! পয়লা বৈশাখে দক্ষিণেশ্বরের অরক্ষিত মুখগুলি ভয় বাড়াল আরও
লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona)। বছরের প্রথম দিনই দক্ষিণেশ্বরের (Dakshineswar Temple) চিত্রটা বলল অন্য কথা।
দক্ষিণেশ্বর: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona)। সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। তবুও কি সচেতন মানুষ? চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন সতর্ক হতে। একেবারে ভোট আবহ, তারওপর চৈত্র সেল- সবে মিলে একাকার পরিস্থিতি। অসচেতনতার পরিণাম করোনার উর্ধ্বমুখী গ্রাফ। তবুও বছরের প্রথম দিনই দক্ষিণেশ্বরের (Dakshineswar Temple) চিত্রটা বলল অন্য কথা।
অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিড়টা কিছুটা হলেও কম। তবে ভিড় ছিলই আর তা চোখে পড়ার মতনই। অরক্ষিত মুখের সংখ্যাই ছিল বেশি। নতুন পোশাকে মন্দিরে পুজো দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। তবে মাস্ক বেশিরভাগজনেরই পকেটে। এরকমই একাধিক জনকে প্রশ্ন করলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি।
কারোর উত্তর, “মাস্কটা পরা হয়নি দাদা, পকেটে রয়েছে।” আবার অন্য এক মহিলার বক্তব্য, “মাস্কটা পরলে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে।” কারোর আবার মাস্ক ঝুলছে কানের গোড়ায়। সাজপোশাক সকলের ঠিকই রয়েছে, নেই কেবল মাস্কটাই।
এদিকে, দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে ঢোকার আগেই বড় বড় করে লেখা রয়েছে, মাস্ক ছাড়া মন্দির চত্বরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাতেও কেন জাগছে না মানুষের সচেতনতা?
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনই এলাকার ভাল ছেলেটার মর্মান্তিক পরিণতি! কাঁদছে গ্রাম
বলাই বাহুল্য, পয়লা বৈশাখ, হালখাতা সবই থাকবে আগামী দিনে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন এই অতিমারি পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিজেকে সুস্থ রাখা। TV9 বাংলাও আপনার কাছে অনুরোধ করছে, মাস্ক পরুন, নতুন বছরে নিজে সুস্থ থাকুন, বাকিদের সুস্থ রাখুন।