উত্তর ২৪ পরগনা: প্রতিবেশীর জন্মদিন। লক্ষ্মীপুজোয় মামারবাড়ি এসে সেখান থেকে জন্মদিনের পার্টিতেই গিয়েছিল যুবতী। কিন্তু পরিণতি (Woman Assualt) যে এমন হবে তা ভাবতেও পারেননি কেউ। অভিযোগ, পার্টিতে মদ খাওয়ানোর পর জোর করে তুলে এনে গণধর্ষণ করে তিন যুবক। তাঁদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশীরই তিন বন্ধু। বনগাঁর চাঞ্চল্য়কর ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি অভিযুক্তরা অধরা।
ঠিক কী হয়েছিল এদিন? নির্যাতিতা যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, লক্ষ্মীপুজোয় মামারবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ওই যুবতী। পাশেই প্রতিবেশী সুদীপ বিশ্বাসের জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষ্যে সুদীপের বাড়িতে যান ওই তরুণী। সেখানে সুদীপ ছাড়াও আরও অন্যান্যরাও ছিলেন। সেখানেই সুদীপের তিন বন্ধু তথা মূল অভিযুক্ত শোভন রায়, দেবব্রত রায় ও সুজিত বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ওই যুবতী না চাইতেও তাঁকে জোর করে মদ্যপান করানো হয়।
এরপর রাতে সুদীপ ওই যুবতীকে বাড়ির কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরেই ওই শোভন, দেবব্রতরা সেখানে এসে জোর করে যুবতীকে তুলে নিয়ে যায় ও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এদিকে, অনেক রাতেও নির্যাতিতা বাড়ি না ফেরায় তাঁকে খুঁজতে বের হন সকলে। তখন স্থানীয় আমবাগান থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে আবিষ্কার করেন এলাকাবাসী।
নির্যাতিতার মামার কথায়, “মেয়েটা আমাকে সব বলেছে। ওকে যখন খুঁজে পাই, হুঁশ ছিল না। ওরা জোর করে আমার ভাগ্নীটাকে মদ খাইয়েছে। তারপর তুলে নিয়ে গিয়েছে। ধর্ষণ করেছে। ওরা সবাই সুদীপের বন্ধু।” পাল্টা, সুদীপ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্ধুরা জন্মদিনের কেক নিয়ে বাড়িতে এসেছিল। পার্টিতে আমরা জনা দশেক ছিলাম। ওই তিন জন (অভিযুক্ত) বিয়ারও এনেছিল। খাওয়াদাওয়াও হয়েছিল। অনেকের মতো ওই মেয়েটিও মদ্যপান করেছিল। রাত ৯টা নাগাদ বন্ধুরা বাড়ি চলে গেলে ভাই ও এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ওই মেয়েটিকে তাঁর মামাবাড়ির সামনে ছেড়ে আসি।”
পরিবারের ভিত্তিতে অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে ভরতপুর থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা এখনও পলাতক। বনগাঁ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতীকে আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হবে।
পেশায় বিউটিশিয়ান ২২ বছরের ওই যুবতীর বাড়ি ভরতপুর এলাকায়। তাঁর বাবা ভিন্ রাজ্যে কাজ করেন। মায়ের সঙ্গে গোবরাপুরে থাকেন ওই যুবতী। রাতেই ভরতপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত সুজিত বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে। পাশাপাশি সুদীপ বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Child Death: ‘ছেলেটার মুখও দেখতে পারলাম না…’ ২৪ ঘণ্টা না পেরতেই হাসপাতালেই মৃত্যু সদ্যোজাতর!