Dakshineswar Temple: ‘বুকে কেমন একটা চিনচিন করছে…’, মহালয়ার ভোরে দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে এসে ফেরত গেলেন অসংখ্য পুণ্যার্থী
Dakshineswar Temple: সকাল থেকেই প্রশাসনের তরফে মন্দির গেটের সামনে রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা।
উত্তর ২৪ পরগনা: আগেই মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল। মহালয়ায় (Mahalaya) স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে বন্ধ থাকবে দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar Temple)। কিন্তু অনেকেই সে কথা জানেন না। মহালয়ার ভোরে দূর দূরান্ত থেকে পুজো দিতে এসেও ফিরে গেলেন ভক্তরা।
সকাল থেকেই প্রশাসনের তরফে মন্দির গেটের সামনে রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা। পুণ্যার্থীদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকে আবার না জেনেই বলছেন, বিনা নোটিসে মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে অসুবিধা হচ্ছে।
কল্পনা দত্ত নামে এক পুণ্যার্থী বললেন, “প্রত্যেকবারই আসি। গতবার আসিনি। এবার ভেবেছিলাম পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক, তাই মন্দির খোলা থাকবে। কিন্তু ফিরে যেতে হচ্ছে। মনে খারাপ লাগা রয়েছে। তবে এটাও ঠিক স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেটা মেনে নিতেই হবে।”
ভোরে গঙ্গায় স্নান সেরেই পুজো দিতে এসেছিলেন রাজু দাস। তিনি বলেন, “মনটা খারাপ হয়ে গেল। তবে আমরা কিন্তু জানতাম না মন্দির বন্ধ থাকবে। আগে জানলে আসতাম না। একটা আশা নিয়ে এসেছিলাম, ভাল দিন, পুজো দেব। কিন্তু মন্দির বন্ধ রয়েছে, ফিরে যেতে হচ্ছে।”
আরেক পুণ্যার্থীর কথায়, “মন্দির কেন বন্ধ রাখা হয়েছে সবই বুঝি। কিন্তু তাও মনটা আনচান করে। বুকের ভিতরটা চিনচিন করছে। আগের বছর পুজোটাও কোনওমতে গেল! এবার তাই মহালয়ার দিন পুজো দিতে এসেছিলাম।”
পয়লা বৈশাখের সময়ে দক্ষিণেশ্বর খোলা ছিল। তাতে এক অন্য ছবি ধরা পড়ে। কারোর মাস্ক কানে ঝুলছে, কারোর থুতনিতে নামানো। কারোর উত্তর, “মাস্কটা পরা হয়নি দাদা, পকেটে রয়েছে।” আবার অন্য এক মহিলার বক্তব্য, “মাস্কটা পরলে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে।” কারোর আবার মাস্ক ঝুলছে কানের গোড়ায়। সাজপোশাক সকলের ঠিকই রয়েছে, নেই কেবল মাস্কটাই।
ঠিক তার এক মাস পরই মন্দির বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষে। অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্দির বন্ধ রাখা হয়। ফের খোলা হয় মন্দির। কিন্তু অক্টোবরে পুজোর সময় স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখেই এদিন বন্ধ রাখা হয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির।
পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূচনা। মাহেন্দ্রক্ষণে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে চলছে ঘাটে ঘাটে তর্পণ। বাবুঘাট থেকে বাগবাজার ঘাট-সর্বত্র একই ছবি। গঙ্গার ঘাটে কড়া নিরাপত্তা। তৎপর কলকাতা পুলিশ ও রিভার ট্রাফিক পুলিশ।
কিন্তু অনেক গঙ্গার ঘাটেই ধরা পড়ল অসচেতনতার ছবিও। বেশিরভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব? সে তো চুলোয় উঠেছে। এক্কেবারে গা ঘেষাঘেষি করেই চলছে তর্পণ। প্রশাসনের তরফে মাইকিংয়ের নির্দেশ ছিল। কিন্তু সব গঙ্গার ঘাটে ধরা পড়ল না সেই ছবি।
আরও পড়ুন: Mahalaya 2021: ‘মেঘ দেখলেই ভয় লাগছে, আবার যদি…’, নৌকায় বসেই মহালয়া শুনলেন ঘাটালবাসী
আরও পড়ুন: COVID: ঘাটে ঘাটে শয়ে শয়ে ভিড়, চুলোয় দূরত্ববিধি! করোনা ভুলে তর্পণের চেনা ছবি ফিরল বছর খানেক পর