সন্দেশখালি: অজিত মাইতিকে উদ্ধার করতে এসপি-কে ফোন করা হয়েছে। এমনই জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁর সেই মন্তব্যের পরই অজিত মাইতিকে উদ্ধার করতে সন্দেশখালির বেড়মজুর গ্রামে পৌঁছন ডিআইজি (বারাসত), আইজি (ট্র্যাফিক), বসিরহাট পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী। যদিও ভয়ে কাঁপছেন দাপুটে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির গেট তালাবন্ধ করে ভিতরেই রয়েছেন।
এদিকে, ডিআইজি, আইজি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গ্রামে পৌঁছতেই পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা। অজিত মাইতিকে ধরার আশ্বাস দিয়ে পুলিশ উত্তেজিত মহিলাদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁরা বিক্ষোভে অনড়। গ্রামের মহিলাদের পাল্টা দাবি, “পুলিশ যদি সঠিক সময়ে তাদের কাজ করত, তাহলে আমাদের এই পরিস্থিতি হত না।” পুলিশের হাতে নয়, নিজেদের হাতে অজিত মাইতিকে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। গ্রামবাসীর কথায়, “ওকে (অজিত মাইতি) বের করে দাও। তারপর আমরা বুঝে নিচ্ছি।”
অজিত মাইতি তাঁদের জমি কেড়ে নিয়েছে, ঘর ভেঙে দিয়েছে, ছেলেদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে বলেও অভিযোগ গ্রামের মহিলাদের। এবার নিজেদের হাতে অজিত মাইতিকে পাল্টা শাস্তি দিতে মরিয়া বেড়মজুর গ্রামের মহিলারা। একেবারে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম তথা সন্দেশখালি। এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও পুলিশ বাহিনী গ্রামে এসে পৌঁছেছে। মহিলা পুলিশকর্মীও বাহিনীতে রয়েছেন।
তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অজিতকে খুঁজে বের করতে হবে দাবি সকলের। এরই মধ্যে জানা গেল এলাকার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে লুকিয়ে অজিত। এর মধ্যে জানা গেল, এলাকার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে লুকিয়ে অজিত। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অজিত মাইতি বলেন , “২০১৯ এ বিজেপি করতাম তখন শাসকদলের লোকজন মারধর করে শাসকদলে যোগদান করতে বাধ্য করা হয়।” তৃণমূলের সিরাজের সঙ্গে থাকা ভুল হয়েছে। শনিবারই তাঁকে অঞ্চল সভাপতির পদে বসানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করতে চান বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন অজিত মাইতি। এরপরই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বললেন, “ওকে আগেই সরানো হয়েছে।” অর্থাৎ অজিত মাইতি অঞ্চল সভাপতির পদে ইস্তফা দেওয়ার আগেই দলের তরফে তাঁকে সরানোর কথা জানালেন পার্থ ভৌমিক।