Jyotipriya Mallick: দিঘায় বালুর ‘বেনামি’ হোটেল? ঠিকুজি কুষ্ঠি খুঁজে বের করল TV9 বাংলা

Ration Scam: সম্প্রতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মোবাইলে ছবি দেখিয়ে অভিযোগ তুলেছেন, দিঘায় তিনটি বেনামি হোটেল রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। সেই অভিযোগের বিষয়ে আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে বারাসতে পৌঁছে গিয়েছিলেন টিভি নাইন বাংলা। সূত্রের দাবি, ওই হোটেলগুলির মালিকানা রয়েছে এসএবি উদ্যোগ নামে একটি সংস্থার হাতে।

Jyotipriya Mallick: দিঘায় বালুর 'বেনামি' হোটেল? ঠিকুজি কুষ্ঠি খুঁজে বের করল TV9 বাংলা
দিঘার হোটেল বিতর্কImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2023 | 3:58 PM

বারাসত: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মোবাইলে ছবি দেখিয়ে অভিযোগ তুলেছেন, দিঘায় তিনটি বেনামি হোটেল রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। সেই অভিযোগের বিষয়ে আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে বারাসতে পৌঁছে গিয়েছিলেন টিভি নাইন বাংলা। সূত্রের দাবি, ওই হোটেলগুলির মালিকানা রয়েছে এসএবি উদ্যোগ নামে একটি সংস্থার হাতে।

এই এসএবি সংস্থা কারা চালান জানেন? খোঁজখবর করতে গিয়ে দেখা গেল, এই সংস্থার তিনজন মালিক রয়েছেন। সম্রাট গুপ্ত, অজয় দে এবং শ্রাবণী কাশ্য়পি। এই শ্রাবণী কাশ্য়পি আবার তৃণমূলের কাউন্সিলর। এছাড়া সম্রাট গুপ্ত একজন নির্মাণ ব্যবসায়ী। অজয় দে’ও একজন ব্যবসায়ী বলেই জানা যাচ্ছে। যদিও সম্রাট গুপ্ত ও অজয় দে দাবি করছেন, এই হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোনও যোগ নেই।

উল্লেখ্য, শ্রাবণী কাশ্যপি হলেন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি এই প্রথমবার কাউন্সিলর হলেও, তাঁর স্বামী মৃণ্ময় কাশ্যপি শাসক দলের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী। মৃণ্ময়বাবুর দাবি, তিনি ২০১৬ সাল থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে চেনেন। তবে সবথেকে চাঞ্চল্যকর যে তথ্য সূত্র মারফত উঠে এসেছে, তা হল এই শ্রাবণী কাশ্যপি এর আগেও দু’টি সংস্থায় ডিরেক্টর পদে ছিলেন। সেই দু’টি সংস্থাতেই অপর দুই ডিরেক্টর ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক ও মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস।

খোঁজখবর নিতে তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলর শ্রাবণী কাশ্যপির সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল টিভি নাইন বাংলা। তবে তিনি কলকাতায় নেই বলেই দাবি করেছেন। যদিও কাউন্সিলরের স্বামী মৃণ্ময় কাশ্যপির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, প্রথমে তিনি ওই দু’টি সংস্থার সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর যোগের কথা অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য স্বীকার করেন ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগের কথা। কিন্তু মৃণ্ময় কাশ্যপি দাবি, মন্ত্রীর স্ত্রী সেই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেটি তাঁরা জানতেন না। পরে অবশ্য আবার স্বীকার করে নেন, তিনি জানতেন।