Jayant Singh Bail: জামিন পেলেও কাটছে না অস্বস্তি! জয়ন্তকে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
Jayant Singh Ariadaha News: কিন্তু জয়ন্তর সেই আর্জি মঞ্জুর করেনি আদালত। পুজো আবহে 'মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে' রেহাই পাননি তিনি। তবে ওই মামলায় জয়ন্ত সিংয়ের জামিনের সম্ভবনা যে একেবারে কেটে গিয়েছে এমনটা নয়। চলতি মাসের শেষেই রয়েছে শুনানি। বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছিলেন, 'লিগ্যাল পয়েন্টে' শুনানির পর জয়ন্তর আর্জি বিচার করবে আদালত। আগামী ৩১ অক্টোবর সেই মামলায় রয়েছে শুনানি।

উত্তর ২৪ পরগনা: মিলল জামিন। তাও কাটল না অস্বস্তি। আড়িয়াদহের ‘ত্রাস’ জয়ন্ত সিংকে এখনও থাকতে হবে জেলেই। শুক্রবার একটি মামলায় অন্তবর্তী জামিন পেয়েছেন জয়ন্ত। একাধিক শর্তের ভিত্তিতে তাঁকে জামিন দিতে রাজি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর বেঞ্চ।
হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এদিন ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১১ নং ধারা অনুযায়ী সংগঠিত অপরাধের একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। আপাতত ব্য়ারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় তাঁর প্রবেশ নিষেধ। আর একদিকে যেমন তাঁকে প্রতি মুহূর্তে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে, ঠিক তেমনই সাক্ষীদের কোনও প্রভাবিত করতে পারবেন না বলেই জয়ন্তকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এত শর্ত জেলের বাইরে পা রাখার জন্য, কিন্তু সেটাই এখন সম্ভব নয়। একটা মামলা থেকে সাময়িক নিস্তার পেলেও, অন্য একটি মামলার কারণে জেলের মধ্যেই ‘পা বাঁধা’ থাকল জয়ন্তর। তাই সম্ভব হল না জেলমুক্তি। উল্লেখ্য, গত মাসের শেষের দিকেই ওই মামলায় জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন জয়ন্ত সিং। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। যুক্তি দিয়েছিলেন, মায়ের শরীর ভাল নেই।
কিন্তু জয়ন্তর সেই আর্জি মঞ্জুর করেনি আদালত। পুজো আবহে ‘মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে’ রেহাই পাননি তিনি। তবে ওই মামলায় জয়ন্ত সিংয়ের জামিনের সম্ভবনা যে একেবারে কেটে গিয়েছে এমনটা নয়। চলতি মাসের শেষেই রয়েছে শুনানি। বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘লিগ্যাল পয়েন্টে’ শুনানির পর জয়ন্তর আর্জি বিচার করবে আদালত। আগামী ৩১ অক্টোবর সেই মামলায় রয়েছে শুনানি।
আড়িয়াদহের ‘ত্রাস’
জয়ন্তর কাণ্ডকারখানা প্রকাশ্যে আসে গতবছরের জুলাই মাসে। মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় দুই যুবক-সহ একজনের মাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ছড়ায় উত্তেজনা। এই ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আর জয়ন্ত গ্রেফতার হতেই তাঁর অত্যাচারের নানা ছবি ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, চারদিক দিয়ে এক যুবকের হাত-পা টেনে ধরেছে জয়ন্তর সঙ্গীরা। আর লাঠি হাতে লাগাতর, পৈশাচিক ভাবে সেই যুবকের উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন জয়ন্ত। শুধু তা-ই নয়, জয়ন্তর গ্রেফতারির পর তাঁর ‘হোয়াইট হাউসের’ কাহিনীও ছড়িয়ে পড়ে লোকমুখে। সেই বাড়িকে ‘বেআইনি’ বলে ভাঙতে উদ্যত হয় পুরসভা। তবে দিন শেষে সেই প্রাসাদপম বাড়ি থেকে নিজের জায়গায়। পড়েছে স্থগিতাদেশ। ‘বেঁচে গিয়েছে’ জয়ন্তর ‘হোয়াইট হাউস’।
