উত্তর ২৪ পরগনা: ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল দু’জনের। বনগাঁয় বাইকের সঙ্গে লরির ধাক্কায় দুই বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে বনগাঁ শহরের বক্সীপল্লি এলাকায় ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অর্থাৎ যশোর রোডে এই দুর্ঘটনায় ঘটে। পথের বলি হন তরতাজা দুই যুবক।
বক্সীপল্লি এলাকার পেট্রোলপাম্পের সামনে যশোর রোডের উপর শুক্রবার রাতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত দুই যুবকের নাম রাজু দাস (৩৩) ও আশিক দাস (৩১)। বনগাঁর বিদ্যুৎ দফতরে কাজ করতেন তাঁরা।
এদিন কাজ সেরে রোজকার মতো বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন দুই সহকর্মী। ফেরার পথে একটি ম্যাটাডরের সঙ্গে তাঁদের বাইকের ধাক্কা লাগে। রাস্তায় ছিটকে পড়েন আশিক ও রাজু। গুরুতর জখন হন তাঁরা। রাস্তা সে সময় রক্তে ভাসছিল। ছুটে আসেন স্থানীয়রা। কিন্তু ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীনবন্ধু নগরের বাসিন্দা আশিক দাসের। গোবরডাঙার বাসিন্দা রাজু দাসের অবশ্য তখনও ধুকপুক করছিল শরীরের ভিতর প্রাণটা। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি। মৃত্যু হয় রাজুরও।
রাজু, আশিকদের অফিসে কর্মরত বিকাশ পাণ্ডে জানান, “ওদের ডিউটি পাঁচটা অবধি। রাজু দাস চার্জম্যান। ওদের বিভিন্ন রকম কাজ থাকে। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। বনগাঁয় বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যা যা কাজ সবটাই রাজু দাসের উপর নির্ভর করত। শুক্রবার সাড়ে ৬টা বেজে গিয়েছে তখনও দেখি রাজু যায়নি। কোম্পানিকে তার ভাগ করে দিচ্ছিল। আমাদের অন্য এক আধিকারিক ছিলেন আর রাজু ছিল। আশিক দাস নামে দীনবন্ধুনগরের আরও একটা ছেলে আছে ও এসে রাজুর সঙ্গে বেরোল। বোধহয় রাজুকে ট্রেন ধরাতে নিয়ে যাচ্ছিল। পথেই শেষ। আমাকে পুলিশ ফোন করেছিল। জানতে পারলাম, আশিক মারা গিয়েছে। রাজু হাসপাতালে ভর্তি। মনে মনে বললাম ‘বেঁচে থাকিস রাজু’। আমি রাতেই গাড়ি নিয়ে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি রাজু আর নেই। রাজু আমাদের স্টাফ, চার্জম্যান। আশিক কোম্পানির সুপারভাইজার। এভাবে ওরা চলে যাবে কিছুতেই মানতে পারছি না।”