AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pakistan Citizen in Naihati: করাচির নাগরিক নৈহাটির ভোটার! অর্জুনের অভিযোগ মেনে নিল তৃণমূল বিধায়ক

Arjun Singh: নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে সালেয়ার পাকিস্তানি নাগরিক হওয়ার নথি মেইল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তড়িঘড়ি পুশব্যাক করা উচিত। সাম্প্রতিককালে রাজ্যে ভুয়ো পাসপোর্ট-কাণ্ডে জড়ানো আজ়াদ মল্লিকের বিরুদ্ধেও উঠেছিল এই একই অভিযোগ। আজ়াদ একুশের বিধানসভা নির্বাচন ও গতবছর হওয়া লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন।

Pakistan Citizen in Naihati: করাচির নাগরিক নৈহাটির ভোটার! অর্জুনের অভিযোগ মেনে নিল তৃণমূল বিধায়ক
এ টি ঘোষ লেনImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2025 | 3:14 PM
Share

ব্যারাকপুর: নৈহাটির ভোটার তালিকায় পাকিস্তানি নাগরিক। বছর ঘুরলেই নির্বাচন, এসআইআর নিয়ে বাড়ছে দাবদাহ। সেই আবহেই পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দার চাঞ্চল্যকর কীর্তি ফাঁস করলেন ব্য়ারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। পড়শি দেশের নাগরিকের নাম কীভাবে নৈহাটির ভোটার তালিকায় উঠল সেই প্রশ্নই তুললেন তিনি।

নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত এ টি ঘোষ লেনের বাসিন্দা সালেয়া খাতুন। তবে তিনি নৈহাটির বাসিন্দা হলেও জন্মসূত্রে পাকিস্তানের নাগরিক। অবশ্য, তাতে কোনও আপত্তি নেই। আপত্তি থাকারও কথা নয়। সমস্যা ভোটার তালিকা নিয়ে। বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, পাক নাগরিক হয়েও বাংলায় ভোটার সালেয়া। এদিন তিনি বলেন, ‘ইনি পাকিস্তানের নাগরিক। করাচি থেকে এখানে এসেছেন। ওঁর মেয়েরও পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে। কিন্তু বাংলায় এসেই তাঁরা হয়ে গিয়েছেন ভারতীয়।’

ইতিমধ্য়েই নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে সালেয়ার পাকিস্তানি নাগরিক হওয়ার নথি মেইল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তড়িঘড়ি পুশব্যাক করা উচিত। সাম্প্রতিককালে রাজ্যে ভুয়ো পাসপোর্ট-কাণ্ডে জড়ানো আজ়াদ মল্লিকের বিরুদ্ধেও উঠেছিল এই একই অভিযোগ। আজ়াদ একুশের বিধানসভা নির্বাচন ও গতবছর হওয়া লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলার ভোটার হলেও জন্মসূত্রে ছিলেন পাকিস্তানের নাগরিক। ইডির কাছেই জেরায় সেই কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি।

নৈহাটির ‘ভোটার’ সালেয়ার যে পাকিস্তান-যোগ রয়েছে, সেই কথা অস্বীকার করেননি নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে। তিনি বলেন, ‘ভোটার কার্ড দেয় নির্বাচন কমিশন। যা অর্জুন সিংদের আওতায়। ওনারাই দেখুক, কী ব্যাপার। এটা সত্যি কথা যে সালেয়া পাকিস্তানের বাসিন্দা। যার সঙ্গে এর বিয়ে হয়েছে, তিনি কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকতেন। ২৮ বছর আগে ওঁর সঙ্গে বিয়ে করেই সে এই রাজ্যে আসে। এবার ভোটার কার্ড ভুয়ো নাকি আসল তা ওরাই দেখুক।’

পাক নাগরিক সালেয়ার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বাড়িতে চলে যায় টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধি। ক্যামেরার সামনে সালেয়াকে নিয়ে আসতে রাজি হন না তাঁর স্বামী মহম্মদ ইমরান। তবে স্ত্রী যে পাকিস্তানি সেই কথা অস্বীকার করে না সে। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘১৯৯১ সালে উনি করাচি থেকে এখানে এসেছেন। ভোটার তালিকায় নাম উঠেছিল ২০০৮ সালের আগে। সেই থেকেই ভোট দিত।’ বলে রাখা প্রয়োজন, সম্প্রতি প্রশাসনের উদ্যোগে বাতিল হয়েছে সালেয়ার পাসপোর্ট। কূটনৈতিক টানাপোড়েনে রিনিউ হয়নি ভিসা। ফলত অবৈধ ভাবেই বাংলায় রয়ে গিয়েছেন তিনি। অবশ্য, তাঁর পরিবারের দাবি, প্রশাসন মানবিকতার খাতিরে তাঁকে বৈধ পাসপোর্ট দিক। অর্থাৎ ভারতের নাগরিকত্ব চান সালেয়া।