Damaged River Embankment: ভাঙতে ভাঙতে সরু হয়ে গিয়েছে নদী বাঁধ, আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে সন্দেশখালির এই গ্রামে
River Embankment: শুধু মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়। মণিপুর সহ পূর্বপাড়া, নলপাড়া এবং মিঠাখালি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদী বাঁধের এমনই বেহাল দশা।
বসিরহাট : নদীর বাঁধ ভাঙতে ভাঙতে একেবারে সরু হয়ে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে ঢুকে পড়তে পারে নদীর জল। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সুন্দরবন এলাকার সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের। এই এলাকার পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে রায়মঙ্গল নদী। নদীর ধার দিয়ে মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়া রয়েছে বটে। তবে সেই বাঁধের অবস্থা এখন অতি শোচনীয়। জলের তোড়ে প্রতিনিয়ত একটু একটু করে ভাঙছে নদী বাঁধের মাটি। তার উপর ভরা কোটালের পর বেড়ে গিয়েছে রায়মঙ্গল নদীর জলস্তর। শুধু মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়। মণিপুর সহ পূর্বপাড়া, নলপাড়া এবং মিঠাখালি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে নদী বাঁধের এমনই বেহাল দশা।
বসিরহাট মহকুমার এই এলাকার বাসিন্দাদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। হঠাৎ করে যদি ভেঙে যায় নদীর বাঁধ? কী হবে? গোটা গ্রাম যে তাহলে গ্রাস করে নেবে রায়মঙ্গল নদী। এলাকাবাসীদের কাতর আর্তি, “আমরা কী করে বাঁচব? নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে আমরা কী করে বাঁচব? জলে ভাসতে হবে আমাদের।” গতবছরও জল ঢুকে গিয়েছিল গ্রামের ভিতরে। তখন এলাকার অনেকেই স্থানীয় এক স্কুলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নদীর ধারে বসবাসকারী মানুষরা এখন তাই একপ্রকার রাত পাহাড়া দিচ্ছেন। এখন তাঁদের কাতর নিবেদন, কিছু একটা ব্যবস্থা করা হোক যাতে দ্রুত বাঁধ মেরামত করা যায়। না হলে, যে কোনও সময়ে নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়বে গ্রামের ভিতরে।
উল্লেখ্য, নদী বাঁধের এই বেহাল দশার কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ঘুরে ঘুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। প্রধান জানিয়েছেন, “রায়মঙ্গল নদীর পাড়ে বাঁধের অবস্থা ভীষণই খারাপ। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি বলছি। সেচ দফতর কিছুদিন আগে এখানে কাজ করেছিল। কিন্তু জলোচ্ছাসে সেই কাজের সমস্ত মাটি নেমে গিয়েছে। আমার এলাকায় তিন জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সেচ দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছি। এত বড় নদীর বাঁধ যদি ভাঙে, তাহলে সমস্ত এলাকা জলপ্লাবিত হয়ে যাবে। মানুষের ক্ষতির আর কোনও সীমা থাকবে না।”