Mumbai vs Madhya Pradesh: পাতিদারের ইনিংস জলে, ‘বিগ বয়েজ’ আউট হলেও মুম্বইকে জেতালেন দুই তরুণ
Syed Mushtaq Ali Trophy Final: শেষ দিকে মুম্বইয়ের তারকা হয়ে উঠলেন এক তরুণ ক্রিকেটার সূর্যাংস শেড়গে। সেমিফাইনালে ছয় মেরে শেষ করেছিলেন শেড়গে, ফাইনালে অঙ্কোলেকর। এই দুই তরুণের ২০ বলে ৫১ রানের পার্টনারশিপে ট্রফি ছিনিয়ে নিল মুম্বই। দ্বিতীয়বার ফাইনাল, দ্বিতীয় ট্রফি। ১৩ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জয়।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারত সেরার লড়াই। একদিকে লাল-বলের রাজা মুম্বই, অন্য দিকে দুর্দান্ত ক্রিকেটারে ভরা চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের মধ্য প্রদেশ। লাল-বলের ক্রিকেটে মুম্বই সেরা দল হলেও টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একবারই ট্রফি জিতেছিল। এ বার রাহানের ফর্ম মুম্বইকে দ্বিতীয় ট্রফির স্বপ্ন দেখিয়ে এসেছে। সঙ্গে শ্রেয়স আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবেরা ছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে মুম্বইয়ের তারকা হয়ে উঠলেন এক তরুণ ক্রিকেটার সূর্যাংস শেড়গে। সেমিফাইনালে ছয় মেরে শেষ করেছিলেন শেড়গে, ফাইনালে অঙ্কোলেকর। এই দুই তরুণের ২০ বলে ৫১ রানের পার্টনারশিপে ট্রফি ছিনিয়ে নিল মুম্বই। দ্বিতীয়বার ফাইনাল, দ্বিতীয় ট্রফি। ১৩ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জয়।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলেন রজত পাতিদার। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম তাঁর কাছে হোম গ্রাউন্ড। শুধু তাই নয়, মধ্য প্রদেশ প্রথম বার রঞ্জি চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল এই মাঠেই। রজতের জন্য আরসিবি সাপোর্টাররা মাঠ ভরিয়েছিলেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ফাইনালের মঞ্চে রজতের সঙ্গে তারকা ক্রিকেটারদের দেখার সুযোগ। রজত পাতিদার দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তাঁর অপরাজিত ৮১ রানের সৌজন্যেই মুম্বইকে ১৭৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল মধ্য প্রদেশ।
পাওয়ার প্লে-তে পৃথ্বী ও শ্রেয়স আইয়ারের উইকেট হারিয়েছিল মুম্বই। মধ্য প্রদেশের কাছে আরও একটা বড় সুযোগ ছিল। অজিঙ্ক রাহানের মিস টাইম শট। অন সাইডে খেলার চেষ্টায় ব্যাটের মাথায় লাগে। মিড অফে রজতের হাতে ক্যাচ। যদিও মিস করেন মধ্য প্রদেশ অধিনায়ক। ফর্মে থাকা রাহানের ক্যাচ মিস টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে, এমন প্রত্যাশা ছিল। বাঁ হাতি ফিঙ্গার স্পিনার থেকে চায়নাম্যান হয়ে ওঠা কুমার কার্তিকেয়র বিরুদ্ধে রিভার্স সুইপ। দশম ওভারে পরপর বাউন্ডারি। রাহানে স্বপ্নের ফর্মে। সঙ্গী সূর্যকুমার যাদব। অবশেষে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের স্লোয়ারে স্কোয়ার কাটে হতাশ হয়ে ফিরলেন রাহানে। ডিপ পয়েন্টে দুর্দান্ত একটা ক্যাচ।
এই খবরটিও পড়ুন
মুম্বই ব্যাটারদের মূলত স্লোয়ারে সমস্যায় ফেলেন মধ্য প্রদেশ পেসাররা। আবেশ খান ছাড়া বাকিরা মিডিয়াম পেসার। ১২০-১২৫ কিমি/ঘণ্টা গতির বোলিংয়ে শট খেলতে সমস্যা হওয়ারই কথা। ভেঙ্কটেশের বোলিংয়ে রাহানের ক্ষেত্রেও তাই হল। স্কাইয়ের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন শিবম দুবে। ইনসাইড আউট বাউন্ডারিতে খাতা খুললেও তাঁর ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে আউট শিবম। কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারিয়ে সাময়িক চাপে পড়ে মুম্বই। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস স্কাইয়ের। তরুণ ক্রিকেটার সূর্যাংশ শেগড়ে স্লগ ওভারে স্কাইয়ের মতোই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন এবং অঙ্কোলেকরের সঙ্গে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।