Duttapukur Blast: বিস্ফোরণের অভিঘাত কয়েক হাজার বোমার সমান! কীভাবে ঘটল, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের হাতে

ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সেই সব নমুনার প্রাথমিক পর্যালোচনাও চলছে। সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে তিন ধরনের রাসায়নিকের অস্বিত্ব পাওয়া গিয়েছে।

Duttapukur Blast: বিস্ফোরণের অভিঘাত কয়েক হাজার বোমার সমান! কীভাবে ঘটল, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের হাতে
উদ্ধার হওয়া বাজি তৈরির উপকরণImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2023 | 10:27 AM

বারাসত: দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কয়েক কিলোমিটার দূরেও তা অনুভূত হয়েছে। বিস্ফোরণে প্রাণহানির পাশাপাশি সেই বাড়ির ছাদও উড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সেই সব নমুনার প্রাথমিক পর্যালোচনাও চলছে। সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে তিন ধরনের রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। পটাসিয়াম ক্লোরেট, বেরিয়াম নাইট্রেট এবং অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো- এই তিন রাসায়নিকের জেরেই বিস্ফোরণের অভিঘাত এত বেশি বলে অনুমান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর বিস্ফোরণের আগের দিন অর্থাৎ শনিবার কেয়ামতের কারখানায় পৌঁছেছিল বিপুল পরিমাণ বাজির মশলা অর্থাৎ এই তিন ধরনের রাসায়নিক। আলু বাজি, চটপটি থেকে শুরু করে শেল শট-এর মতো বাজি তৈরি করতেও এই রাসায়নিক ব্যবহার হয়। ওই বিপুল পরিমাণ মশলা বা রাসায়নিক মজুত ছিল কেয়ামতের কারখানায়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সরু ড্রামের মতো কোনও সিলিন্ডারের মাপের পাত্রে মজুত ছিল রাসায়নিক।

বেরিয়াম এবং পটাসিয়াম ক্লোরেট দুই রাসায়নিকই সামান্য জলের স্পর্শে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এই দুই রাসায়নিকের কোনও একটা মজুত থাকলে বিক্রিয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক অনুমান, দত্তপুকুরে পটাসিয়াম থেকে বিক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তার সঙ্গে যোগ হয় বেরিয়াম। ওই বিক্রিয়ায় প্রচন্ড শক্তিশালী হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি হয়। ঘেরা বদ্ধ জায়গায় সেই গ্যাস থেকেই জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। তিন রাসায়নিকের বিক্রিয়ায় ঘটা এই বিস্ফোরণ এতটাই জোরালো ছিল, কংক্রিট পর্যন্ত উড়িয়ে দিয়েছে। তবে সংগৃহীত নমুনার পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই রিপোর্ট এলে তবেই এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন তদন্তকারীরা।