Online Panchayat: ‘কাটমানির’ হাত থেকে মুক্তির আশা! ‘স্মার্ট’ হতে গিয়েও ধাক্কা পঞ্চায়েতে, এলই না নির্দেশিকা

Online Panchayat: পঞ্চায়েতের শংসাপত্র অনলাইনে দেওয়ার নির্দেশই পায়নি বাঁকুড়ার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত, আদৌ সুবিধা হবে নাকি বৃদ্ধি পাবে হয়রানি? আশা আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ। চাপানউতোর চলছে নাগরিক মহলে।

Online Panchayat: ‘কাটমানির’ হাত থেকে মুক্তির আশা! ‘স্মার্ট’ হতে গিয়েও ধাক্কা পঞ্চায়েতে, এলই না নির্দেশিকা
কেন এই অবস্থা? Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 27, 2024 | 3:07 PM

বাঁকুড়া: স্বাস্থ্য পরিষেবা হোক বা শিক্ষা ক্ষেত্র, কৃষক বন্ধু হোক বা অন্য যে কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে গ্রাম পঞ্চায়েতের শংসাপত্র অত্যন্ত জরুরি। রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিকে স্মার্ট করার লক্ষ্যে সেই শংসাপত্র প্রদান প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে অনলাইনে। এদিন সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বাঁকুড়া জেলার কোনো পঞ্চায়েতেই এখনো পৌঁছায়নি সরকারি নির্দেশিকা। এই পদ্ধতিতে কী আদৌ সুবিধা হবে নাকি বাড়বে হয়রানি? আশা আশঙ্কার দোলাচলে সাধারণ মানুষ।

কন্যাশ্রী,  ঐক্যশ্রী, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার, তপশিলি জাতি ও উপজাতি শংসাপত্র-সহ একাধিক কারণে ছুটতে হয় পঞ্চায়েতে। ইনকাম সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রেও পঞ্চায়েত প্রধানের দেওয়া শংসাপত্রই মূল নথি হিসাবে গ্রাহ্য হয়। এতদিন এইসব শংসাপত্র গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অফলাইনে দেওয়া হত। গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে নিজের পরিচয় পত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি দেখালেই মিলত প্রধানের স্বাক্ষর করা শংসাপত্রগুলি। কিন্তু, এখন স্মার্ট হচ্ছে রাজ্যের সব পঞ্চায়েত। অর্থাৎ এবার থেকে এই সমস্ত শংসাপত্র নিতে আর গ্রাম পঞ্চায়েতে যেতে হবে না।

এই খবরটিও পড়ুন

অনলাইনে আবেদন জানালে অনলাইনেই হয়ে যাবে কাজ। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বলছেন, স্মার্ট  হতে গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে পঞ্চায়েতগুলি। সূত্রের খবর, বাঁকুড়া জেলায় এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনও সরকারি নির্দেশ এসে না পৌঁছানোয় শুরুই হল না গ্রাম পঞ্চায়েতের এই অনলাইন শংসাপত্র দেওয়ার কাজ। কবে সেই নির্দেশিকা মিলবে এবং কীভাবেই বা এই কাজ হবে সে ব্যাপারেও কোনও সুষ্পষ্ট ধারণা নেই পঞ্চায়েতগুলির। এদিকে এই বিষয়টি জানার পর থেকেই রীতিমতো আশা-আশঙ্কার দোলাচলে সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, বাঁকুড়ার বহু প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। কিছু জায়গায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থাকলেও সেখানে সবসময় ইন্টারনেট সংযোগ থাকে না। অগত্যা অনলাইন পরিষেবা নিতে বহু এলাকার মানুষকে ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাজার এলাকায় যেতে হয়। পঞ্চায়েতের শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের এবার সেই পথ পাড়ি দিয়ে দূরবর্তী বাজার এলাকায় ছুটতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু সুবিধা হবে বলেও আশা করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, বহু ক্ষেত্রে শংসাপত্র নিতে গেলে প্রধান বা পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের কাটমানি দিতে হয়। অনলাইন পদ্ধতি চালু হলে সেই কাটমানি দেওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।