Manmohan Singh Sister: দু’দিন আগেও কলকাতায় বোনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ‘ফ্যামিলিম্যান’ মনমোহন, কখনও বলতেন না ‘আমি ব্যস্ত’
Manmohan Singh Sister: দেশের কাজ করেও কখনও ব্যস্ততার অজুহাত দেখাতেন না মনমোহন। দেখাননি মনমোহন সিং। পরিবারের কেউ সময় চাইলেই রাজি হয়ে যেতেন। পড়াশোনার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতেন, বোঝাতেন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কতটা।
কলকাতা: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশ। রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে বড় শূন্যতা। তবে পরিবারের ক্ষতি অপূরণীয়। শারীরিক অবস্থার জন্য দিল্লি যেতে পারছেন না, কলকাতায় বসে দাদার জন্য চোখে জল গোবিন্দ কৌরের। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে বা পরে, বোনের সঙ্গে সম্পর্ক একই রকম ছিল মনমোহনের। ব্যস্ততার অজুহাতে কখনও পরিবারকে এড়িয়ে যাননি তিনি।
গোবিন্দ কৌর ও তাঁর পুরো পরিবার কলকাতায় বসবাস করেন। ভাগ্নে গুরদীপ সিং জানান, তাঁর মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ফোনে কথা হত মনমোহনের। দু দিন আগেও ফোন করে বোনের খোঁজ খবর নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘মনমোহন ছিলেন কমপ্লিট ফ্যমিলিম্যান।’
দেশের কাজ করেও কখনও ব্যস্ততার অজুহাত দেখাতেন না মনমোহন। দেখাননি মনমোহন সিং। পরিবারের কেউ সময় চাইলেই রাজি হয়ে যেতেন। পড়াশোনার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতেন, বোঝাতেন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কতটা।
ভাগ্নে জানান, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে সরকারি আধিকারিক থাকাকালীন কলকাতায় তাঁদের বাড়িতে বহুবার এসেছেন মনমোহন। তবে প্রোটোকলের কারণে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আত্মীয়দের ডাকতেন রাজভবনে। তবে প্রাক্তন হয়ে যাওয়ার পরে এসেছিলেন। বলছেন গুরদীপ।
ইতিমধ্যেই বোনের বড় ছেলে আর পুত্রবধূ দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ভাগ্নে গুরদীপও কিছুক্ষণের মধ্যেই রওনা দেবেন। ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে শেষ দেখা করতে গিয়েছিলেন কুলজিতরা। তখন হুইল চেয়ারে বসে থাকতেন মনমোহন। তবে একবারেই স্বাভাবিক ছিলেন।