Dr. Manmohan Singh Funeral Ceremony: ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে যা হয়নি সেভাবেই দাহ করা হবে ডঃ মনমোহন সিংহকে

Dr. Manmohan Singh Funeral Ceremony: সব ধর্মের মতোই শিখেদের নিজস্ব কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। এমনকি অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়াতেও রয়েছে নানা নিয়মকানুন।

| Updated on: Dec 27, 2024 | 3:41 PM
৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দেশের প্রথম অহিন্দু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনিই। মাথায় নীল পাগড়ি শোভা পেত বেশিরভাগ সময়। আসলে নীল রং যে তাঁর ভীষণ প্রিয় ছিল। রাজনীতির কারবারিদের অনেকের মত, ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরে অবনতি হয়েছিল শিখেদের ভাবমূর্তি। তবে মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী করে ফের পুরনো সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে চেয়েছিল কংগ্রেস।

৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। দেশের প্রথম অহিন্দু প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনিই। মাথায় নীল পাগড়ি শোভা পেত বেশিরভাগ সময়। আসলে নীল রং যে তাঁর ভীষণ প্রিয় ছিল। রাজনীতির কারবারিদের অনেকের মত, ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরে অবনতি হয়েছিল শিখেদের ভাবমূর্তি। তবে মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী করে ফের পুরনো সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে চেয়েছিল কংগ্রেস।

1 / 8
সব ধর্মের মতোই শিখেদের নিজস্ব কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। এমনকি অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়াতেও রয়েছে নানা নিয়মকানুন। শিখ ধর্ম মতে মৃত্যু আর পাঁচটা জিনিসের মতোই একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এতে কেবল এক শরীর থেকে অন্য শরীরে আত্মার স্থানান্তর হয়। মৃত্যুর পরে পুনর্জন্ম হয় আত্মার।

সব ধর্মের মতোই শিখেদের নিজস্ব কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। এমনকি অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়াতেও রয়েছে নানা নিয়মকানুন। শিখ ধর্ম মতে মৃত্যু আর পাঁচটা জিনিসের মতোই একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এতে কেবল এক শরীর থেকে অন্য শরীরে আত্মার স্থানান্তর হয়। মৃত্যুর পরে পুনর্জন্ম হয় আত্মার।

2 / 8
শিখেদের বিশ্বাস জীবনের উদ্দেশ্য হল ওয়াহেগুরুর কাছাকাছি যাওয়া। নিজের ভাল কর্ম, সৎ জীবন যাপনের মাধ্যমে তা করা সম্ভব। একমাত্র ওয়াহেগুরু পারেন জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের বৃত্ত ভাঙতে, মুক্তি দিতে।

শিখেদের বিশ্বাস জীবনের উদ্দেশ্য হল ওয়াহেগুরুর কাছাকাছি যাওয়া। নিজের ভাল কর্ম, সৎ জীবন যাপনের মাধ্যমে তা করা সম্ভব। একমাত্র ওয়াহেগুরু পারেন জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্মের বৃত্ত ভাঙতে, মুক্তি দিতে।

3 / 8
নিয়ম অনুসারে মৃত্যুর পরেও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সময় বিশেষ কিছু নিয়ম মানা হয়। শিখ ধর্ম মতে, মৃত্যুর পরে মৃত দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পর সেই ছাই নিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীর জলে। তবে মৃত দেহ সৎকারের আগেও আছে বেশ কিছু নিয়ম কানুন। সাধারণত মৃত্যুর তিন দিনের মধ্যে শুরু করতে হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার। মৃত দেহকে ভাল ভাবে স্নান করিয়ে পরিষ্কার পোশাক পরানো হয়।

নিয়ম অনুসারে মৃত্যুর পরেও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সময় বিশেষ কিছু নিয়ম মানা হয়। শিখ ধর্ম মতে, মৃত্যুর পরে মৃত দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পর সেই ছাই নিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীর জলে। তবে মৃত দেহ সৎকারের আগেও আছে বেশ কিছু নিয়ম কানুন। সাধারণত মৃত্যুর তিন দিনের মধ্যে শুরু করতে হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার। মৃত দেহকে ভাল ভাবে স্নান করিয়ে পরিষ্কার পোশাক পরানো হয়।

4 / 8
১০ম শিখ ধর্মগুরু গুরু গোবিন্দ সিংহ শিখেদের পাঁচ 'ক' ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতোই মানা হয় নিয়ম। এই পাঁচ 'ক'-এর মধ্যে আছে কেশ বা না কাটা চুল। ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতীক। কঙ্গি বা ছোট কাঠের চিরুনি। শিখ ধর্ম মতে এটি পরিচ্ছন্নতার প্রতীক। কাচ্ছা বা সুতির অন্তর্বাস, শুদ্ধতার প্রতীক। কড়া যা হাতে পরার লোহার বালা, শিখেদের কর্তব্য বোধের প্রতীক। নিয়ম অনুসারে ডান কব্জিতে পরতে হয় কড়া। শেষ 'ক' মানে ক্রিপান বা ছোট তলোয়ার। এই তলোয়ার মর্যাদা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিখেদের সংগ্রামের প্রতীক।

১০ম শিখ ধর্মগুরু গুরু গোবিন্দ সিংহ শিখেদের পাঁচ 'ক' ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতোই মানা হয় নিয়ম। এই পাঁচ 'ক'-এর মধ্যে আছে কেশ বা না কাটা চুল। ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতীক। কঙ্গি বা ছোট কাঠের চিরুনি। শিখ ধর্ম মতে এটি পরিচ্ছন্নতার প্রতীক। কাচ্ছা বা সুতির অন্তর্বাস, শুদ্ধতার প্রতীক। কড়া যা হাতে পরার লোহার বালা, শিখেদের কর্তব্য বোধের প্রতীক। নিয়ম অনুসারে ডান কব্জিতে পরতে হয় কড়া। শেষ 'ক' মানে ক্রিপান বা ছোট তলোয়ার। এই তলোয়ার মর্যাদা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিখেদের সংগ্রামের প্রতীক।

5 / 8
মরদেহকে ফুল-মালা দিয়ে সাজানো হয়। সাধারণত মৃত দেহ সাজানোর জন্য কমলা বা সাদা ফুল ব্যবহারের চল বেশি। এছাড়াও শিখ সম্প্রদায়ে চন্দ্রমল্লিকা ফুল ব্যবহারের চল রয়েছে।

মরদেহকে ফুল-মালা দিয়ে সাজানো হয়। সাধারণত মৃত দেহ সাজানোর জন্য কমলা বা সাদা ফুল ব্যবহারের চল বেশি। এছাড়াও শিখ সম্প্রদায়ে চন্দ্রমল্লিকা ফুল ব্যবহারের চল রয়েছে।

6 / 8
শেষ কৃত্য সম্পন্ন করে মৃতের পরিবারের সদস্যরা গুরুদ্বারে গিয়ে আত্মার শান্তি কামনায় স্তোত্র পাঠ করেন। আত্মা্র শান্তি কামনায় 'আরদাস', 'জপজি', 'কীর্তন সোহিলা'র মতো প্রার্থনা সঙ্গীত গাওয়া হয়।

শেষ কৃত্য সম্পন্ন করে মৃতের পরিবারের সদস্যরা গুরুদ্বারে গিয়ে আত্মার শান্তি কামনায় স্তোত্র পাঠ করেন। আত্মা্র শান্তি কামনায় 'আরদাস', 'জপজি', 'কীর্তন সোহিলা'র মতো প্রার্থনা সঙ্গীত গাওয়া হয়।

7 / 8
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের শেষ হলে, মৃতের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার শিখেদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব একসঙ্গে পাঠ করেন। একত্রে এই পাঠ 'অখন্ড পাঠ' নামে পরিচিত। সাধারণত মৃতের বাড়িতে বা গুরুদ্বারে এই 'অখন্ড পাঠ' করা হয়। হয় ৩ দিন বা ১০ দিন ধরে চলে 'অখন্ড পাঠ'। মৃত্যুর বর্ষপূর্তিতেও তাঁর স্মরণে পরিবার এবং বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন সকলে একত্রিত হয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের শেষ হলে, মৃতের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার শিখেদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ শ্রী গুরু গ্রন্থ সাহিব একসঙ্গে পাঠ করেন। একত্রে এই পাঠ 'অখন্ড পাঠ' নামে পরিচিত। সাধারণত মৃতের বাড়িতে বা গুরুদ্বারে এই 'অখন্ড পাঠ' করা হয়। হয় ৩ দিন বা ১০ দিন ধরে চলে 'অখন্ড পাঠ'। মৃত্যুর বর্ষপূর্তিতেও তাঁর স্মরণে পরিবার এবং বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন সকলে একত্রিত হয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

8 / 8
Follow Us: