Sandeshkhali: কাঁদছে সন্দেশখালি, কীর্তন করছে তৃণমূল
Sandeshkhali: একদিন আগে সন্দেশখালিতে যেতে দেখা গিয়েছিল পার্থ ভৌমিককে। সঙ্গে ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। বিকালে মহিলাদের অভিযোগ শুনতেও বসেন। সেখানেই মন্ত্রীদের পেয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। শাহজাহানের বিরুদ্ধেও গর্জে ওঠেন।
সন্দেশখালি: শনিবারের পর রবিবারেও নতুন করে তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালির বেড়মজুর। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন সাধারণ মানুষ। বিচারের দাবিতে উঠেছে রব। অন্যদিকে এদিনই আবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের পথ আটকায় পুলিশ। তুমুল ধস্তাধস্তিও হয়। গ্রেফতারও করা হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের। এদিকে বেড়মজুরেই আবার অন্য মেজাজে দেখা গেল সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। কীতর্নের দলের সঙ্গে খোল কাঁধে হাসিমুখে নাচতে দেখা গেল তাঁকে।
পার্থ বলছেন, “মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ প্রশমিত হচ্ছে। অন্যান্য অনেক বিষয়ে অভিযোগ আছে। কিন্তু, মেয়েদের উপর পাশবিক অত্যাচারের যে অভিযোগ হাইলাইট করে দেখানো হচ্ছিল সেটা যে সর্বৈব মিথ্যা তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। জমি যদি কারও গিয়ে থাকে তাহলে তাঁরা ফেরত পাবেন।” এদিকে আবার মন্ত্রীর কথা বলতেই ঝাঁটা হাতে গর্জে উঠলেন এক মহিলা। বললেন, “এত অভিযোগ আছে যে বলে পুরোতে পারব না। এই ঝাঁটা দিয়েই সব আবর্জনা ঝেঁটিয়ে বিদায় করব। আমাদের বেলায় আইন, আর ওদের বেলায় কোনও আইন থাকে না। ও মা-বোনদের নিয়ে ইচ্ছামতো খেলা করে। আনন্দ উপভোগ করে। কোনও মন্ত্রী আমাদের দরকার নেই। মন্ত্রী তো বলেছে কোনও ঝামেলা নেই। উনি কী ঘুমাচ্ছিলেন?”
প্রসঙ্গত, একদিন আগে সন্দেশখালিতে যেতে দেখা গিয়েছিল পার্থকে। সঙ্গে ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। বিকালে মহিলাদের অভিযোগ শুনতেও বসেন। সেখানেই মন্ত্রীদের পেয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। শাহজাহানের বিরুদ্ধেও নিয়েও গর্জে ওঠেন। তখনই এক মহিলার এই প্রশ্নের রীতিমতো বিব্রত হয়ে ‘বেঁফাস’ মন্তব্য করে বসেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এক মহিলার উদ্দেশে বলেন, শেখ শাহজাহানের নাম তাঁকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এবার সেই পার্থকেই হাসিমুখে নাচতে দেখা যাওয়ায় তা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে বাড়তে থাকা আন্দোলন নিয়ে সুজিত বলছেন, “যারা এসব করছে তারা তাদের স্বার্থ দেখছে। পলিটিক্সটা জিইয়ে রাখতে চাইছে। ওরা বুঝতে পারছে বেশিদিন এই আন্দোলন আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাই প্রধানমন্ত্রী যতদিন না আসছেন ততদিন আন্দোলনটা জিইয়ে রাখতে চাইছে। কিছু মানুষকে কিছু লোক করাচ্ছে। কারা করছে আমরা বুঝতে পারছি। আমি বেড়মজুরে দাঁড়িয়ে সবটা দেখলাম।”