BJP Bengal: শান্তনুর তৃতীয় পিকনিকে নেই বিজেপির ‘বড়’ মুখ, ‘নিভছে’ বিদ্রোহের আগুন!

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jan 28, 2022 | 1:33 AM

BJP Bengal: বিক্ষুব্ধদের নিয়ে শান্তনুর তৃতীয় পিকনিক, দেখা গেল না তেমন কোনও বড় নেতাকে। হরিনঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার এলেও বেশিক্ষণ ছিলেন না।

BJP Bengal: শান্তনুর তৃতীয় পিকনিকে নেই বিজেপির বড় মুখ, নিভছে বিদ্রোহের আগুন!

Follow Us

বনগাঁ : বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে ফের পিকনিকের আয়োজন করলেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। নহাট ও গোবরডাঙার পর এবার পিকনিক ঠাকুরনগরের ষষ্ঠীতলায়। বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে এটা ছিল তাঁর তৃতীয় পিকনিক। তবে এ দিন কোনও উল্লেখযোগ্য নেতাকে দেখা গেল না সেই পিকনিকে। শুধুমাত্র হরিনঘাটার বিধায়ক অসীম সরকারকে দেখা গেল কিছুক্ষণের জন্য। শান্তনু ঠাকুর এ ভাবে আরও কয়েকটি পিকনিকের আয়োজন করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই সব বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মন খারাপ হয়েছে, তাই এই ধরনের পিকনিকের আয়োজন করা হচ্ছে।

বিক্ষুব্ধদের নিয়ে শান্তনুর তৃতীয় পিকনিক, দেখা গেল না তেমন কোনও বড় নেতাকে। হরিনঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার এলেও বেশিক্ষণ ছিলেন না। তিনি শান্তনুর সঙ্গে দেখা করে চলে যান। শুধুমাত্র সুব্রত ঠাকুরতে দেখা গিয়েছে এ দিন।

শান্ত হচ্ছে বিক্ষোভ

শান্তনুর সঙ্গে যে বনভোজনে সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারিদের দেখা গিয়েছিল তারপরই বেশ কয়েকজনকে কনভেনরের দায়িত্ব দেয় দল। যে সব বিধায়করা শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে মতুয়া আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকেই কনভেনরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিশ্লেষকদের মতে, বিক্ষুূব্ধদের সামাল দিতে এবার কৌশলী পদক্ষেপ করেছে বিজেপি।

পাঁচটি পৌরসভার পাঁচ জন কনভেনর করা হয়েছে বিক্ষুব্ধ পাঁচ বিধায়ককে। তাঁরা হলেন, গাইঘাটায় বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। এরপরই বিক্ষোভের আগুন কিছুটা নিভেছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে সাময়িক বরখাস্ত করে বার্তা দিয়েছে দল।

‘আমাদের ডাকলে আমরাও যাব’

বৃহস্পতিবার হুগলি জেলা বিজেপি অফিসে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারিনি জেলা কমিটিতে। কিন্তু সবাইকে কাজে লাগানো হবে। পার্টি বাড়ছে। পার্টি ক্ষমতায় আসবে। তাই সেটাই সবাই চাইছে। যদি লোক না থাকত তাহলে সম্ভাবনা থাকত না। এটা স্বাভাবিক। আমরা এটাকে ভালোভাবেই নিচ্ছি।পজিটিভ ভাবে নিচ্ছি। নতুন পুরনো সবাইকে নিয়েই চলবে। যারা বাদ পড়েছেন তাঁদের অন্য জায়গায় দেওয়া হবে। কাজ ছাড়া এবার কোনও নেতা কর্মী থাকবেন না। পয়সা দিয়ে বিজেপিতে পদ পাওয়া যায় না। তাহলে সুকান্ত মজুমদার সভাপতি হত না। আর পিকনিক সম্পর্কে তিনি বলেন, শীতের সময় পিকনিক হতেই পারে। আমাদের ডাকলে আমরাও যাব।

আরও পড়ুন : KMC pension: টাকার অভাবে পেনশন আটকে পুরকর্মীদের! মেয়রকে না জানিয়েই পড়ল নোটিস

আরও পড়ুন : Protest at Bhabanipur: ভর সন্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধুন্ধুমার, আত্মহত্যার হুমকি চাকরিপ্রার্থীদের

Next Article