উত্তর ২৪ পরগনা: এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল জগদ্দলে। পরিবারের অভিযোগ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বাড়ির ছেলেকে। এই ঘটনায় পাশের পাড়ার দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। শ্যামনগরের চারাবাগান এলাকার একটি মাঠ থেকে মঙ্গলবার সকালে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম সুদীপ টিকাদার (২০)। তবে এটি আদৌ খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন সুদীপ। পাড়াতেই বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরিবারের তরফে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ শুরু করা হয়। এরপর থানাতেও নিখোঁজ ডায়েরি করা হবে বলে ভেবেছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে শ্যামনগরের চারাবাগান এলাকার বুড়ির বাগান থেকে সুদীপের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে এই দৃশ্য দেখতে পান। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরিবার খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত সুদীপ তাঁর বন্ধু রাজু রায় ও টিক্কা বিশ্বাসের সঙ্গে মদ্যপান করেছিলেন। সকালে বুড়ির বাগানের আম গাছের ডালে সুদীপের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। এই দুটো ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা।
সূত্র মারফত খবর, চারা বাগান নরকেল মাঠ এলাকার ছেলেদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকা শৈলর বাগানের দীর্ঘদিনের বিবাদ। এর আগে দুর্গাপূজার সময়েও দু’পাড়ার ছেলেদের মারামারি হয়। আর সেই আক্রোশের বদলা নিতেই খুন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সকালে ঘটনাস্থল থেকে বাসুদেবপুর থানার পুলিশ ঝুলন্ত দেহটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দেহটি ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে রাজু রায় ও টিক্কা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুজনকে।
পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, “যে ছেলেটা সন্ধ্যায় ভালোয় ভালোয় বাড়ি থেকে বের হল। সে কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে? খুনই করা হয়েছে ওকে।”
আরও পড়ুন: বাবা-মা-মেয়েক কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে জটিল রহস্য