কেষ্টপুর : এ যেন আস্ত এক সিনেমার স্ক্রিপ্ট। প্রথমে গয়না চুরি। তারপর সেই চুরি করা গয়না পরেই ইনস্টাগ্রামে স্ট্যাটাস আপডেট করে অভিযুক্ত চোর। কথায় বলে না দোষীরা দোষ করলে কোথাও তো ফাঁক রেখেই যায়। আর সেই ফাঁক ধরেই পুলিশ পৌঁছে যায় টার্গেটের কাছে। এই চুরির ক্ষেত্রে সেই ক্লু হল ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। এই ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখে চুড়ির কিনারা করল বাগুইহাটি থানার পুলিশ।
তবে ঘটনার যেন শেষ হয়েও হইল না শেষ। দানিশ আওয়াজ ও তাঁর স্ত্রী আফরিন জাহান বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন সেই বাড়ির মালিকের সোনা-রূপোই চুরি করেন তাঁরা। এই ঘটনার প্রতিটি ধাপে ধাপে রহস্য় লুকিয়ে আছে। ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখে পুলিশ চোর অবধি পৌঁছে তো যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের হাতে নাতে পাকড়াও করতে অসফল হয় পুলিশ। বাগুইহাটি থানার পুলিশ চোরের পিছনে ধাওয়া করে হাওড়া হাট অবধি যায়। পুলিশ দেখে নিজেদের আত্মরক্ষার পথ খোঁজে চোরেরা। তবে শেষ পর্যন্ত আত্মরক্ষা আর হল না। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ডেকে আনল আরেক বিপদ। এমনিতেই পুলিশের হাতে পড়লে লাঠির ঘা তো ছিলই। এর সঙ্গে যুক্ত হল হাসপাতাল ও ক্ষত।
চোর দম্পতি পুলিশের হাত থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছিলেন। অবশেষে বাড়িতে পুলিশ আসতে দেখে তাঁদের মাথায় ফন্দি আটে। পুলিশ দেখে তাঁরা নিজেদের বাড়ি থেকেই ঝাঁপ দেন। কিন্তু গুরুতর চোট পাওয়ায় তাঁদের হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে বাগুইহাটি থানার। বাগুইহাটি থানার পুলিশ গোটা বিষয়টির তদন্ত করছেন।
আরও পড়ুন : Asansol Mafias : নদীর পর এবার নজর পাহাড়ে! আস্ত পাহাড় কেটে কোয়ার্টজ পাথর চুরির চেষ্টা মাফিয়াদের
আরও পড়ুন : Malda: হুলুস্থুল কাণ্ড, গৃহস্থের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগে সাসপেন্ড পুলিশ!