Suvendu Adhikari: ‘বাংলায় আমরা সরকার গড়ব’, ফর্মুলা বাতলে দিলেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে ধর্ষণ ও খুনে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, "তিনটে পার্টে সিবিআই কাজ করছে। ধর্ষণ ও খুন, প্রমাণ লোপাট ও আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি। ৬০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক চার্জশিট না দিলে ধৃত জামিন পেয়ে যেত। এরপর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেবে।"
সন্দেশখালি: আরজি কর কাণ্ড থেকে জয়নগরে নাবালিকাকে খুন। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে একটি দুর্গামণ্ডপে যান তিনি। সেখানে থেকে বেরিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, তৃণমূল ও বামেরা কয়েনের এপিঠ ও ওপিঠ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলায় তাঁরা সরকার গঠন করবেন বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। কীভাবে হবে, তাও বললেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, “বাংলায় ৭০ ভাগ হিন্দু। আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব। আমরা একটা সরকার গড়ব। যে সরকার সুশাসন দেবে। সুরক্ষা দেবে। আমাদের কোনও ধর্মের প্রতি বিতৃষ্ণা নেই। কারও বিরোধিতা নেই।” জয়নগরের নাবালিকাকে খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন না করলে আমাদের কোনও দিদি, বোন, কেউ সুরক্ষিত নয়। সব জায়গায় অভিযুক্তরা তৃণমূলের লোক।”
আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়রকে ধর্ষণ ও খুনে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “তিনটে পার্টে সিবিআই কাজ করছে। ধর্ষণ ও খুন, প্রমাণ লোপাট ও আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি। ৬০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক চার্জশিট না দিলে ধৃত জামিন পেয়ে যেত। এরপর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেবে।” সিবিআইয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই ভাল কাজ করছে। আমরা তাদের উপর ভরসা রাখছি। তথ্য প্রমাণ লোপাট ও ধর্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সিবিআই যেন কড়া ব্যবস্থা নেয়, এটাই আমাদের দাবি।”
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে বায়ো টয়লেট বসানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে টানাপোড়েন চলে আন্দোলনকারীদের। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “জ্যোতিবাবুর আমলে সিপিএম যা করেছিল, এখন তৃণমূল একই কাজ করছে। সিপিএম ও তৃণমূল এক। কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ।”