মালদহ: যত কাণ্ড মালদহে! তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এখানে হাসপাতালের গায়ে চলে জুয়া আর চটুল নাচের আসর। সেখানেও নেতৃত্বে শাসক দলের নেতারা আছেন বলে অভিযোগ। এবার নয়া সংযোজন, তৃণমূলের কর্মীদেরই শুধু কাজ দিতে হবে। অন্যদের দেওয়া যাবে না। এমনই নিদান দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। ভাঙচুর করা হয় পঞ্চায়েত অফিস। পুরো ঘটনায় আঙুল শাসক দল ঘনিষ্ঠ তিন ‘দাদা’-র বিরুদ্ধে। এদিকে নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্যে কর্মবিরতি ডাকলেন পঞ্চায়েত কর্মীরা। বন্ধ হল পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ!
ঠিক কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, বুধবার রতুয়া -১ ব্লকের চাঁদমনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই পঞ্চায়েত কর্মীর ঘরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। তাঁদের কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু কেন?
তিন দুষ্কৃতীর দাবি, এলাকায় ১০০ দিনের কাজ হোক বা রাস্তা নির্মাণ, ই-টেন্ডার হোক বা সেতু তৈরি, পঞ্চায়েতের যে কোনও কাজে বরাত পাবেন কেবল তৃণমূলের লোক। অন্যদের কাজ পাওয়ার অধিকার নেই। আর এই নিদানের অন্যথা হলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে পঞ্চায়েত আধিকারিক কর্মীদের!
এর পরেই টেবিলের কাচ ভেঙে দিয়ে বেরিয়ে যায় তিন দুষ্কৃতী। এই কাণ্ডের পরেই নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিলেন রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা বসলেন কর্মবিরতিতে। বৃহস্পতিবার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পোকে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে ওই সমস্ত কর্মী। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁদের নিরাপত্তার সুব্যবস্থা হবে, ততক্ষণ কাজে যোগদানই করবেন না।
শুধু তাই নয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির পথে হাঁটবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এদিকে পঞ্চায়েতে পরিষেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষদের। যদিও এ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না। পরিষেবার না পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর থেকে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও পুরো ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari on COVID19: ‘পার্কস্ট্রিটের জনজোয়ার আর মেয়রের শপথগ্রহণ থার্ড ওয়েভের আঁতুড়ঘর’