Asansol: কয়লা চুরি মামলায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু
Asansol: কয়লা পাচার মামলায় মূল কিংপিন অনুপ মাজি ওরফে লালা, রত্নেশ ভর্মা ও বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে আলাদা করে বিশেষ কিছু ধারা যোগ করা মামলায় চার্জ দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের এই মামলায় ৩৯৬ জন সাক্ষী রয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন।
আসানসোল: কয়লা চুরি মামলায় চার্জগঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতে চার্জ গঠনের প্রস্তাব দিলেন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার। নির্দিষ্ট মামলা ও ধারা সহ প্রস্তাব গ্রহণ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী কী ধারায় চার্জ আনা হবে, তা সবিস্তারে জানান সিবিআই আইনজীবী। এই ধারাগুলি নিয়ে সোমবার অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনবেন বিচারক। বিচারক জানিয়েছেন আগামী ২৫ তারিখ চার্জগঠন করা হবে।
এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কোন কোন ধারায় কাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে । তখন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার জানান, ইসিএল কর্মী , কোম্পানি ( বেসরকারি সংস্থা ) , এবং সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত- এই তিনটি ভাগে বিভিন্ন ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রস্তাবের সময় এই ধারাগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা তাঁদের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য সময় চাইলে বিচারক সোমবার তাঁদের বক্তব্য রাখার দিন ধার্য করেন।
সোমবার অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্য রাখার পর চার্জ গঠনের একটা দিন ধার্য করা হবে। এই মামলায় মোট ৫০ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে বিনয় মিশ্র ফেরার। এক ইসিএল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হবে। আজ ৪৮ জনের মধ্যে ৪৬ জন উপস্থিত ছিলেন।
কয়লা পাচার মামলায় মূল কিংপিন অনুপ মাজি ওরফে লালা, রত্নেশ ভর্মা ও বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে আলাদা করে বিশেষ কিছু ধারা যোগ করা মামলায় চার্জ দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের এই মামলায় ৩৯৬ জন সাক্ষী রয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন। প্রত্যেকের জন্য রয়েছে ২৫ হাজার পাতার নথি। রয়েছে ১১৪৯ পাতার তথ্যপ্রমাণ। এই মামলায় সিবিআই মোট তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। মামলার মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখনও ফেরার। একজন ইসিএল সিকিউরিটি কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। কয়লা মাফিয়া গুরুপদ মাজি ইডির একটি মামলায় তিহার জেলে বন্দি।
এর আগে গত ৩ জুলাই কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য হয়েছিল। অভিযুক্ত ও একাধিক সাক্ষী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় ওইদিন চার্জগঠন হয়নি। তারপরেই বিচারক ৯ অগস্ট দিন ধার্য করেছিলেন। সেবার আদালতে কর্মবিরতি থাকায় চার্জগঠন হয়নি। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য হয়। সেদিন দুটি সংস্থার বা কোম্পানির জটিলতা থাকায় চার্জফ্রেম গঠন হয়নি। তারপরেই ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শুরু হল চার্জফ্রেম গঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া।