আসানসোল: লড়াই শেষ। মৃত্যু হল সেই অগ্নিদগ্ধ ডাম্পার চালকের। রবিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির পাশে সুরভী পল্লিতে মৃত রঞ্জিত চক্রবর্তীর (৫৮) বাড়িতে দেহ আনা হয়।
চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার স্টোর থেকে মালপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য যেসব প্রাইভেট ট্রাক চলাচল করে সেই রকমই একটি ডাম্পারের চালক ছিলেন রঞ্জিত। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি।
শনিবার ডাম্পারের সামান্য কিছু কাজ করাতে গ্যারাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন এসে স্নান খাওয়া করবেন। জেমারি থেকে ফিরে আসার পথে আল্লাডিতে ট্রাকের ডিজেল ট্যাঙ্কে আগুন লেগে গিয়েছিল। গাড়িতেই দগ্ধ হন তিনি। জলন্ত অবস্থায় রাস্তায় ছোটাছুটি করেছেন রঞ্জিত। শনিবারের সেই দৃশ্য ছিল শিউরে ওঠার মতো।
রূপনারায়ণপুর থেকে আসানসোল ফেরার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় ডাম্পারের ভেতরে থাকা চালক গুরুতর আহত হন। আসানসোল থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় সমস্ত কিছু। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়।
গোটা শরীর তাঁর দাউ দাউ করে জ্বলছিল। আর রাস্তায় এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেরাচ্ছিলেন তিনি। কোনওক্রমে তাঁর শরীরের আগুন নেভানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পিঠাইকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে গিয়েছিল রঞ্জিতের। তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখান থেকে পাঠানো হয়েছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সমস্ত চেষ্টা বিফল করে রবিবার মৃত্যু হল তাঁর।
আরও পড়ুন: Fire Brokeout: চলন্ত ডাম্পারে আগুন, নেভাতে গিয়ে ঝলসে যাওয়া চালকের ছোটাছুটি রাস্তায়
আরও পড়ুন: Potato Farming: আলু বীজের দাম কমাতে উদ্যোগ কৃষি দফতরের! অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ