আসানসোল: মহালয়ায় দেবী এলেন, আবার মহালয়াতেই ফিরে গেলেন। অভিনব একদিনের দুর্গা পুজো হল বার্নপুরে। পুজোর নাম আগমনি দুর্গা। হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে আগমনী দুর্গা পুজো শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষে। দামোদরের নদীর তিরে ধেনুয়া গ্রামে রয়েছে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। বুধবার ভোর থেকে শুরু হল দুর্গা পুজো। তার আগে একই মন্দিরে রাতে অমাবস্যায় কালী পুজো হয়। তারপর আগমনী দুর্গার আবাহন। একদিনেই সপ্তমী অষ্টমী ও নবমী। একদিনের এই অভিনব এই দুর্গা পুজো দেখতে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসেন ধেনুয়া গ্রামে।
পুরোহিতের দাবি, বিভিন্ন খ্যান অনুযায়ী পুজোর লোকাচারগুলি হয়। চাররকমের ভোগ করতে হয় একদিনেই। দশমীর পুজো শেষে ঘট বিসর্জন হয়ে গেলেও মাতৃ প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়।
কেন এরকম পুজো ?
এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও সেবাইত ছিলেন জ্যোতিন মহারাজ। তাঁর গুরুদেব তেজানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো চালু করেছিলেন। বছর সাতেক আগে সেবাইত জ্যোতিন মহারাজও অবশ্য মারা যান। এখন পুজো চালাচ্ছেন গ্রামের মানুষজন।
গ্রামবাসীরা জানান, ১৯৩০ সালে এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয়। মহামায়া অর্থাৎ আগমনী দুর্গা পুজো শুরু হয় ১৯৭৮ সাল থেকে। একদম প্রথমদিকে আগমনী দুর্গার রূপ ছিল অগ্নিবর্ণা পরে শ্বেতশুভ্র, এখন রং বাসন্তী। দশভূজা দেবী এখানে সিংহবাহিনী হলেও অসুরদলনী নন। আগমনী দুর্গার সঙ্গে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া। ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দারা একদিনের এই পুজোতে মেতে ওঠেন। গ্রামবাসীদের দাবি, বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ আসতেই শেষ হয়ে যাওয়ায় মন বিষন্ন হয়ে যায় সবার। এবার পুজো হতে আর সাতদিন বাকি। তার আগেই মায়ের আবাহন ও বিদায় হয়ে গেল বার্নপুরে।