AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ranaghat Durga Puja: মামলা লড়ার টাকা নেই, মহালয়ার সকালেই রানাঘাটের ১১২ ফুট দুর্গা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

Ranaghat Durga Puja: মহালয়ার সকালেই পুজো বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন উদ্যোক্তারা। মামলা লড়ার টাকা নেই, তাই পুজো না করারই সিদ্ধান্ত নিলেন উদ্যোক্তারা।

Ranaghat Durga Puja: মামলা লড়ার টাকা নেই, মহালয়ার সকালেই রানাঘাটের ১১২ ফুট দুর্গা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
রানাঘাটের ১১২ ফুট দুর্গা পুজো না করার সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদেরImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2024 | 12:42 PM
Share

নদিয়া: রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত। মহালয়ার সকালেই পুজো বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন উদ্যোক্তারা। মামলা লড়ার টাকা নেই, তাই পুজো না করারই সিদ্ধান্ত নিলেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করে তাক লাগাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেটা করতে গিয়েই আইনি জটিলতায় পড়েন তাঁরা। শেষমেশ রানাঘাটের কামালপুর এলাকার অভিযান সঙ্ঘ ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো না করারই সিদ্ধান্ত নিল।

এক পুজো উদ্যোক্তা, যিনি মূলত আদালতে গিয়েছিলেন, তাঁর বক্তব্য, “আদালতে জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছিলেন আমাদের, যাতে বিবেচনা করে দেখা হয়। আসলে এই পুজোটায় একটা গোটা গ্রামকে তুলে আনার প্রয়াস ছিল। গ্রামের পরিকাঠামোই উন্নত হত। কারণ গ্রামের ছেলেমেয়েরাই কাজ করছিল। এখন পর্যন্ত ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এটা গ্রামবাসীদেরই টাকা। আদালতে যাওয়ার মতো, গ্রামবাসীদের কাছে আর টাকা নেই। চাঁদা দেওয়ার মতো পরিস্থিতিটুকুও নেই। আদালতে গেলে তো পয়সা লাগে।”

রানাঘাটের ওই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। তাঁদের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করাই মূল সমস্যা, বলছেন উদ্যোক্তারা। শুধু টাকাই নয়, ৪০ বিঘা জায়গা তাঁরা পুজোর জন্য ফসল না করেই রেখে দিয়েছিলেন। এক মহিলা কেঁদেই ফেললেন। তিনি বললেন, “আমাদের পুজো শেষ। গ্রামবাসী সবার চোখে জল। আশপাশের গ্রামের মানুষও এটাই বলছেন।”

প্রসঙ্গত, রানাঘাটের ১১২ ফুট দুর্গার অনুমতি দেন না নদিয়ার জেলাশাসক। তাঁকেই এই পুজোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলাশাসকের বক্তব্য, বিদ্যুৎ দফতর, দমকল, পুলিশ, বিডিও এবং রানাঘাটের মহকুমা শাসক (এসডিও) আবেদন বাতিল করেছেন।  বিদ্যুৎ দফতরের বক্তব্য, ওই পুজো কমিটি প্রতি দিন ৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচের কথা জানিয়েছে। কিন্তু আদতে প্যান্ডেলের যে আয়তন হয়েছে, তাতে ২০-২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। পাশাপাশি এই বিশাল ঠাকুর দেখতে যে পরিমাণ ভিড় হবে, তাতে পুজোর দিনগুলো আইনশৃঙ্খলাও বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। ৩ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পুজোর অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্ট নদিয়ার জেলাশাসককে পুজোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে। জেলাশাসক অনুমতি দেননি।