Coal Smuggling: কয়লা পাচারে যোগ, হরিয়ানা থেকে ধৃত ব্যবসায়ীর ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
Coal Smuggling: গ্রেফতারির পরেই সঞ্জয়কে তোলা হয় হরিয়ানার আদালতে। এরপর দুদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে সঞ্জয় মালিককে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।
আসানসোল: কয়লা পাচার (Coal Smuggling) কাণ্ডে কয়েক দিন আগে কলকাতা (Kolkata) থেকে আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি (CID)। তাঁর সূত্র ধরেই সঞ্জয় মালিক নামের এক ব্যবসায়ীকে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার হরিয়ানার বাহামগড় থানার কামারপুরের একটি ফার্ম হাউসে অভিযান চালিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সূত্রের খবর, আব্দুলের গ্রেফতারির পরেই দিল্লির প্রীতমপুরার বাসিন্দা সঞ্জয় গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ধৃত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৯, ৪১১, ৪১২, ৪১৩, ৪২০ ও ১২০/বি নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গ্রেফতারির পরেই সঞ্জয়কে তোলা হয় হরিয়ানার আদালতে। দুদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে সঞ্জয় মালিককে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সিআইডি সূত্রে খবর, আসানসোলে বিভিন্ন খনি থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচারের সঙ্গে যোগ আছে সঞ্জয়ের। অন্যদিকে মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যে নিয়ে আসার পর আসানসোল আদালতে তোলা হয় সঞ্জয়কে। সেখানে তাঁর তরফে জামিনের আবেদন করা হলে তা নাকচ হয়ে যায়। উল্টে ধৃত ব্যবসায়ীর ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। তবে সওয়াল জবাবের সময় ব্যবসায়ীর আইনজীবী শেষাদ্রী দুবে সওয়াল বলেন, “২০১৯ সালের বারাবনি থানার মামলায় যে এফআইআর করা হয়েছে তাতে আমার মক্কেলের নাম ছিলনা। তাহলে হেফাজতে নেওয়ার কী দরকার?” এ প্রশ্ন তুলেই সঞ্জয়ের জামিনের আবেদন করেন তিনি।
কিন্তু সরকারি আইনজীবী মনোজ সিং জামিনের বিরোধিতা করেন। তাঁর দাবি এ মামলায় এর আগে যে ৫ জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়েছে তাঁদের সূত্রেই দেখা যাচ্ছে ধৃত ব্যবসায়ী কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। প্রসঙ্গত, সোমবার বারাবনিতে বেআইনি কয়লা উদ্ধারের মামলায় পাঁচজনকে সাতদিনের হেফাজতে নেয় সিআইডি। তালিকায় নাম রয়েছে যুধিষ্ঠির ঘোষ, ওম প্রকাশ আগরওয়াল ,অভিষেক সিনহা, বিজয় সিং ও মীর দিলওয়ারের। এদিকে সব পক্ষের সওয়াল জবাবের পর এদিন আসানসোল আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক (সিজিএম) অর্পিত বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্জয় মালিকের জামিন নাকচ করে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।