Nazrul Islam: ‘ক্ষমা কর হজরত’… যে দেশে হিন্দুরা অত্যাচারিত, সেখানে পা রাখবে না নজরুলের পরিবার
Nazrul Islam: কবির ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন, "নজরুল আজ বেঁচে থাকলে তিনি বাংলাদেশের দেওয়া জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন।" কবির স্মৃতিসৌধ থাকলেও সে দেশে আর যেতে চান না তিনি।
আসানসোল: কবি লিখেছিলেন, ‘ক্ষমা কর হজরত, তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ…’। আজ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই পংক্তি শোনা গেল নজরুল ইসলামের আত্মীয়ের মুখে। যে দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলে, সেই দেশে পা রাখবেন না। জানিয়ে দিল আসানসোলের চুরুলিয়ার বাসিন্দা কাজী নজরুলের পরিবার।
এই চুরুলিয়া গ্রামেই জন্মেছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। পরিবারের অনেক সদস্য বাংলাদেশে থাকলেও, একাংশ এখনও রয়েছে চুরুলিয়ায়। বাংলাদেশে তাঁদের যাতায়াত রয়েছে। হাসিনার আমলে বাংলাদেশে গিয়ে সম্মানিতও হয়েছেন তাঁর। কিন্তু এমন পরিস্থিতি থাকলে, আর বাংলাদেশে যেতে চান না তাঁরা।
হিন্দুদের ওপর যেভাবে নির্যাতন হচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত কাজী নজরুল ইসলামের পরিবার। কবির ভিটেমাটি থেকে সংগ্রহশালা সব রয়েছে এই গ্রামে। এখানেই রয়েছে কবি পত্নী প্রমীলাদেবীর সমাধিস্থল। গ্রাম জুড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর দেশ প্রেমের বার্তার আঁকিবুকি। সেই চুরুলিয়া গ্রামে সারা বছর জুড়েই আনাগোনা চলে বাংলাদেশের নজরুল গবেষকদের। কিন্তু বাংলাদেশের এই হিংসার বাতাবরণে তাঁরাও মাস তিনেক আসেননি।
কবির ভ্রাতুষ্পুত্র কাজী রেজাউল করিম জানিয়েছেন, যদি প্রতিবাদের ডাক আসে তবেই বাংলাদেশে গিয়ে ইউনূস সরকারের বিরোধিতায় পথে নামবেন তাঁরা। নাহলে যাবেন না বাংলাদেশে।
বিদ্রোহী কবি নজরুল চেয়েছিলেন দুই বাংলার মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রাখতে। কিন্ত আজ যা হচ্ছে তাকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই বলেই মন্তব্য করেন কবির নাতনি সোনালি কাজি। তাঁর বক্তব্য, এই বাংলাদেশ দেখতে চাননি নজরুল।
কবির ভ্রাতুষ্পুত্র আরও বলেন, নজরুল আজ বেঁচে থাকলে তিনি বাংলাদেশের দেওয়া জাতীয় কবির সম্মান ফিরিয়ে দিতেন। কবির স্মৃতিসৌধ থাকলেও সে দেশে আর যেতে চান না তিনি।