AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durgapur Victim Father: ‘মমতাদি আমার মায়ের মতো…’, হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন দুর্গাপুরের নির্যাতিতার বাবা

Durgapur Victim Father News: মেয়ের এই ঘটনা প্রকাশ্যের আসার পর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন বাবা। প্রশ্ন তুলেছিলেন, আরজি করের তদন্ত নিয়েও। বেসুরো মন্তব্য করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবে বুধবার তাঁর সুর ছিল অনেকটাই নরম। এ যেন চলে যাওয়ার আগে 'আবেগের অনুরণন'।

Durgapur Victim Father: 'মমতাদি আমার মায়ের মতো...', হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন দুর্গাপুরের নির্যাতিতার বাবা
নির্যাতিতার বাবাImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2025 | 11:35 PM
Share

দুর্গাপুর: বাংলা ছেড়ে চলে যাবেন তাঁরা। কিন্তু তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন দুর্গাপুরের নির্যাতিতার বাবা। ওড়িশা থেকে বাংলায় পড়তে এসে ধর্ষণের শিকার তাঁর মেয়ে। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্য়াল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া ওই নির্যাতিতা। মেয়ের এই ঘটনা প্রকাশ্যের আসার পর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন বাবা। প্রশ্ন তুলেছিলেন, আরজি করের তদন্ত নিয়েও। বেসুরো মন্তব্য করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবে বুধবার তাঁর সুর ছিল অনেকটাই নরম। এ যেন চলে যাওয়ার আগে আবেগের অনুরণন

এদিন নির্যাতিত ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা বলেন, আমি চাই না, আমার মেয়ের মতো অন্য কারওর এই রকম দশা হোক। আমরা বাংলা ছেড়ে চলে যাব। আমি প্রথম থেকেই বলেছি, সিবিআই তদন্ত করলে ভাল হয়। মমতা দিদি আমার মায়ের মতো, ওঁকে কোটি কোটি প্রণাম। যদি আমি কিছু ভুল মন্তব্য করে থাকি, আমাকে আপনার ছেলের মতো ভেবে ক্ষমা করে দেবেন। আমি চাই, আমার মেয়ে বিচার পাক। কারণ, ও শুধু আমার মেয়ে নয়। গোটা দেশের মেয়ে ওরা।

ঘটনার পর দিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওড়িশা চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন দুর্গাপুরের ওই নির্যাতিত পড়ুয়ার বাবা। বাংলায় অনেক সাধ নিয়ে মেয়েকে পড়তে পাঠালেও, এখানে আর থাকতে চান না তাঁরা। তিনি জানিয়েছিলেন, ভুবনেশ্বরে মেয়েকে নিয়ে চলে যাবেন। সেখানের কোনও একটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর জন্য ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী মোহনচরণ মাঝিকেও অনুরোধ জানাবেন। বুধবারও তাঁর মুখে শোনা গেল, সেই কথাই। নির্যাতিতার বাবা বললেন, সোনার বাংলা সোনার থাকুক। আমরা চলে যাব। অনেক আশা নিয়ে মেয়েকে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলাম। ওঁর ভবিষ্যৎ যা নষ্ট হওয়ার হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের কাছে একটাই অনুরোধ, ওঁকে বিচার দিন। আমরা আর এখানে আসব না।

উল্লেখ্য়, দুর্গাপুরের ঘটনায় প্রথম থেকে গণধর্ষণের তত্ত্ব উঠে এলেও, তা আপাতত খারিজ করেছেন খোদ নির্যাতিতা। এদিন পুলিশকে গোপন জবানবন্দিতে বড় তথ্য তুলে দিয়েছেন তিনি। পুলিশের দাবি, নির্যাতিতা তাঁদের গোপন জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, ধর্ষক একজনই।