Coal mine fire: ফের আগুন আসানসোলের কয়লা খনিতে! ‘প্রশাসনের উদাসীনতা’ বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
Asansol: রাতে দিকে ধিক ধিক করে জ্বললেও সকালে সেটি আগুনের চেহারা নেয়
আসানসোল: রবিবারের পর আজ ফের জ্বলে উঠল আগুন। ভূগর্ভস্থ পরিত্যক্ত খনি থেকে দাউ-দাউ করে বেরিয়ে এল আগুনের লেলিহান শিখা।
রবিবার কেন্দা ২ নম্বর পিটের আগুন নিভতেই আজ নতুন করে আগুন জ্বলে উঠল কেন্দা ৩ নম্বর পিটে। আতঙ্ক ছড়াল জামুড়িয়ার কেন্দা ও নিউকেন্দা এলাকায়। ঘটনাস্থান পরিদর্শনে এসে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন ইসিএল কর্তৃপক্ষ। আবারও স্থানীয় বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের দাবি তুললেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, কেন্দা তিন নম্বর পিট ভূগর্ভস্থ খনিটির কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে ২০১৬ সাল থেকে। কেন্দা ও শালডাঙা এলাকার মাঝে বিস্তির্ণ এলাকায় মাটি ফুঁড়ে আগুন বের হতে শুরু হয় সোমবার থেকে। এর আগে গত শুক্রবার মধ্যরাতে থেকে কেন্দা খোলা মুখ খনির বন্ধ ২ নম্বর পিটে প্রচণ্ড কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল।
রাতের মধ্যে সেই ধোঁয়া পরদিন সকালে ভয়াবহ আগুনের চেহারা নেয়। রবিবার পেলোডার নামিয়ে মাটি ও বালি ভরাট করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেই আগুন নিভতেই সোমবার অন্য একটি প্রান্ত থেকে আগুন বের হতে শুরু হয়।
গতকাল কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সন্দিপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই আগুন নিত্য নৈমিত্যিক ঘটনা। প্রথমে আগুন জ্বলবে। তারপর আগুন নেভাতে মাটি চাপা দিয়ে দেবে। সেই কারণে আমরা দীর্ঘদিন পুর্নবাসন চেয়ে আসছিলাম। এই নিয়ে অনেক চিঠি করা হয়ছে। ২০১৭ সালে একই ঘটনা ঘটে। সেই সময় ওই এলাকার বাসিন্দাদের কেন্দা হাইস্কুলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন ম্যানেজমেন্ট কোনও কথাই কানে তুলছে না। সেই কারণে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে অনুরোধ করছি আমাদের এখান থেকে ওঠাবার বন্দ্যোবস্ত করা হোক। এখানে প্রায় দেড়শো পরিবার রয়েছে। সেই কারণে আমরা চাইছি আমাদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। আমরা একাধিক বার অনুরোধ করেছি সাবাইকে। আমাদের বিধায়ককেও বলব যাতে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।”
২০১৭ সালে এইরকমই আগুন ও ধসের জেরে কেন্দা গ্রামের একাংশকে নিরাপদ স্থলে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল গ্রামের কাছে স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে। আগুন নিভতেই আবার তারা ফিরে যায় নিজের নিজের বাড়িতে। কেন্দা গ্রাম রক্ষা কমিটির পক্ষে বারবার স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানালেও মেলেনি পুনর্বাসন। স্থানীয়র জানান, এই মূহূর্তে যে জায়গায় আগুন লেগেছে সেটি বিস্তীর্ণ ফাঁকা এলাকা। তবে খুব কাছেই রয়েছে শালডাঙা, কেন্দা, নিউকেন্দা ও জোরজোনাকি গ্রাম। স্থানীয়দের আশঙ্কা মাটির নীচের ওই আগুন হয়তো ওপর থেকে নিভিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আগুন নিভে গেলেও ভূগর্ভস্থ কয়লা জ্বলতেই থাকবে ও আগুন নিভে ছাই হয়ে গেলে ভূগর্ভে শূন্যস্থান তৈরি হবে। তখনই ধস নামতে পারে এলাকায়।
আরও পড়ুন: Fire Brokeout: পরিতক্ত খনিগর্ভে আগুন, দাউ-দাউ করে মাটির উপরে বেরিয়ে এল লেলিহান শিখা