আসানসোল: প্রায় ১০ বছর পর কুলটিতে জনসভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে যাবেন তিনি। কিশোর সংঘ ময়দানে সভা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। নিঃসন্দেহে এবারের লোকসভা ভোট তৃণমূলের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এখনও অবধি সাধারণ নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা হাতে পায়নি তৃণমূল। এর আগে বিজেপির কেন্দ্র ছিল। বাবুল সুপ্রিয় ইস্তফা দেওয়ার পর উপনির্বাচনে তা পায় তৃণমূল। শত্রুঘ্ন সিনহার হাত ধরেই তৃণমূলের হাতে আসে আসানসোল। তবে উপভোটে আসানসোল হাতে পেলেও, কুলটি কিন্তু তৃণমূলের জন্য কাঁটা হয়েই থেকে গিয়েছে বিগত দিনগুলিতে।
২০১৪, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কুলটিতে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। ২০২২ সালের উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহা ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ভোটে জিতলেও সাত বিধানসভার মধ্যে কুলটি কিন্তু জিততে পারেননি ‘বিহারীবাবু’। বাকি ছয় বিধানসভায় ব্যাপক জয় পেলেও, কুলটিতে হারতে হয়েছিল।
অন্যদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও কুলটি কেন্দ্র হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার অজয় পোদ্দারের কাছে। এই আবহে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কুলটিতে বিশেষ নজর রয়েছে তৃণমূলের।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুলটিতে সভা করেছিলেন। ফের তিনি কুলটিতে সভা আসছেন। শনিবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে দু’টি জনসভা করবেন। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ তথা কুলটির মহিলা সভাপতি ইন্দ্রানী মিশ্র বলেন, “এবার তৃণমূল কুলটিতে জিতবে। এগিয়েও থাকবে।” তৃণমূলনেত্রীর প্রচারে কি কুলটিতে তৃণমূলের ফাঁড়া কাটবে, সে প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। বিজেপি অবশ্য বলছে, তারা আত্মবিশ্বাসী কুলটি নিয়ে। অতীতের রেকর্ড ধরে রাখতে মরিয়া তারা।