Sehgal Hossain: কীভাবে এত বাড়ল দাড়ি? তিহার জেলে থাকা সায়গলের চেহারা দেখে জানতে চাইলেন বিচারক

Sehgal Hossain: সম্প্রতি এই সায়গল হোসেনের বিপুল টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, যা তাঁর ও তাঁর পরিবারের নামে ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে।

Sehgal Hossain: কীভাবে এত বাড়ল দাড়ি? তিহার জেলে থাকা সায়গলের চেহারা দেখে জানতে চাইলেন বিচারক
ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নিলেন সায়গল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2022 | 7:28 AM

আসানসোল : তিহার জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিলেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী তথা গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন। শুক্রবার তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি। আবারও ২২ ডিসেম্বর তাঁর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত জেলেই থাকছেন সায়গল। শুক্রবারই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকেও জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসানসোল জেলেই আপাতত থাকছেন তিনি। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে থাকলেও পরে ইডি জেরা করার পর সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিন শুনানিতে সায়গলের চেহারা দেখে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চান, দাড়ি কেন বেড়েছে? সায়গল জানান, ঠাণ্ডা বেশি থাকায় কাটা হয়নি। কেমন শীত পড়েছে, তা জানতে চান বিচারক। কম্বল দেওয়া হচ্ছে কি না, সে খবরও নেন তিনি। সায়গল উত্তরে জানিয়েছেন, ঠাণ্ডা অনেকটাই বেশি, তবে কম্বল দেওয়া হয়। বিচারক তাঁকে জানিয়ে দেন, কেউ জামিনের আবেদন করেননি, পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর। একথা শুনে সায়গল উত্তর দেন, ‘ঠিক আছে সাহেব।’

সম্প্রতি এই সায়গল হোসেনের বিপুল টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, যা তাঁর ও তাঁর পরিবারের নামে ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে গোয়েন্দাদের দাবি, সায়গলের সম্পত্তির পরিমান অনেকটাই বেশি। গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে জেরা করেই সায়গলের নাম সামনে এসেছিল। পরে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন পেশায় একজন কনস্টেবল হলেও সায়গলের সম্পত্তি বিপুল। তাঁর আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

প্রথমে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে বিপুল টাকার আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ইডি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করার পর তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তিহার জেলে রয়েছেন তিনি। তিনি গরু পাচারের টাকা নিতেন বলে অভিযোগ। সেটাই তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে তাঁর মা ও স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।