C V Ananda Bose: আচার্যকে দেখেই কালো পতাকা ওড়াচ্ছিল, একটা কাগজ দেখাতেই ‘চুপ’ TMCP

Kazi Nazrul University: এ দিকে, অনুষ্ঠানের আচার্য বোস কালো পতাকা ইস্যুতে সংবাদ মাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দেন। বলেন, "ছাত্র-ছাত্রীদের এক্তিয়ার রয়েছে আন্দোলন করার। তাঁরা প্রতিবাদ করতেই পারেন। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে বিপথে পরিচালিত করা হচ্ছে। ভুল বুঝিয়ে তাঁদেরকে আন্দোলনে নামানো হচ্ছে।"

C V Ananda Bose: আচার্যকে দেখেই কালো পতাকা ওড়াচ্ছিল, একটা কাগজ দেখাতেই 'চুপ' TMCP
আচার্য সিভি আনন্দ বোসImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2024 | 7:42 AM

আসানসোল: অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর শেষ হল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরের আপত্তি ও বিতর্কের পরও চতুর্থবারের জন্য শেষ হয়েছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল শিক্ষক সংগঠন ওয়েব কুপার সদস্যরা কালো পতাকা দেখিয়েছেন। কিন্তু আচার্য বোসের দেখানো হাইকোর্টের একটি কাগজই তাদের প্রত্যেককে চুপ করিয়ে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢোকার মুখেই আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দেখানো হয় কালো পতাকা। দেওয়া হয় স্লোগানও। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরের কোনও অনুমতি নেই এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। একতরফা ভাবে আচার্য এই অনুষ্ঠানটি করাচ্ছেন অস্থায়ী উপাচার্যকে সামনে রেখে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এও দাবি, সমাবর্তন নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু যেভাবে সমাবর্তন হচ্ছে সেই পদ্ধতি নিয়ে তাঁদের তীব্র আপত্তি রয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এখানে আমন্ত্রণ করা যেত। কিন্তু তা করা হয়নি। আন্দোলনকারীরা রাজ্যপালকে ‘পদ্মপাল’ বলেও তীব্র কটাক্ষ করেন।

এ দিকে, অনুষ্ঠানের আচার্য বোস কালো পতাকা ইস্যুতে সংবাদ মাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দেন। বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের এক্তিয়ার রয়েছে আন্দোলন করার। তাঁরা প্রতিবাদ করতেই পারেন। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে বিপথে পরিচালিত করা হচ্ছে। ভুল বুঝিয়ে তাঁদেরকে আন্দোলনে নামানো হচ্ছে।” এরপর তিনি হাইকোর্টের একটি নির্দেশ নামাকে সামনে রেখে দাবি করেন, “ইউজিসির যে নিয়ম তা রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর মানছে না। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ বা বরখাস্তের সম্পূর্ণ অধিকার একমাত্র রয়েছে আচার্যের। রাজ্যের কোনও এক্তিয়ার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার।” তিনি আরও বলেন, “কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালযয়ে প্রাক্তন উপাচার্যকে নিয়ে যে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেখানে কোনও রকমের উচ্চ শিক্ষা দফতর আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করেননি। শেষপর্যন্ত আমাকে ভূমিকা নিতে হয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয় সচল হয়েছে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে।”