Durga Puja 2021: ‘মদের টাকা দে’, বিসর্জনের রাতেই বোমাবাজি, উত্তপ্ত দুর্গাপুর!
Bomb Blast: বিসর্জনের পরে বিজয়ার কিছু অনুষ্ঠান চলছিল। সেইসময়ে, পাড়ার একদল যুবক পাশের পাড়ার আরেকদলের কাছে গিয়ে মদ কেনার টাকা চায়।
পশ্চিম বর্ধমান: পুজোর রেশ কাটেনি। বিসর্জনের পরেই মদের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসায় জড়িয়ে পড়ল দুই পাড়ার দুই গোষ্ঠী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুরের অন্নপূর্ণা নগর। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয়ারা জানিয়েছেন, শনিবার রাত দশটার কিছু পড়ে এলাকার প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠান শেষ হয়। পাশাপাশি দুটি পাড়ার পুজো। বিসর্জনের পরে বিজয়ার কিছু অনুষ্ঠান চলছিল। সেইসময়ে, পাড়ার একদল যুবক পাশের পাড়ার আরেকদলের কাছে গিয়ে মদ কেনার টাকা চায়। সেই নিয়ে বচসা শুরু হয়। দ্বিতীয় দলটি টাকা দিতে অস্বীকার করে। তারপরেই বিপত্তি। টাকা না দেওয়াায় প্রথমে হাতাহাতি পরে বোমাবাজি ও ভাঙচুর চালানো হয়। কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে কয়েকজনকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় এক যুবকের কথায়, “ভাসানের পর পাশের পাড়ার ছেলেদের দল এসে আমাদের এলাকার বাচ্চাদের থেকে মদ খাওয়ার টাকা চায়। বলে, ‘মদ খাব টাকা দে।’ এরা সব ছোট বাচ্চা। ওরা না বলে। ওরা জানিয়ে দেয় টাকা দেবে না। তখন ওদের মারধর করে চলে যায়। পরে আমি এলে আমায় সব খুলে বলে। আমি আমার এলাকার ছেলেদের নিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওরা আমাদের উপল হামলা চালায়। মারধর করে। গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করে। আমরা কোনওরকমে পালিয়ে এসে থানায় খবর দিই।”
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট (ইস্ট) এসপি ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের টিম কাজ করছে। টাকা দেওয়া নিয়ে ঝামেলা। বিশেষ কিছু হয়নি। বোমাবাজির কোনও খবর পাইনি। দোষীদের খোঁজা হচ্ছে। সন্দেহভাজন কিছুজনকে আটক করে বয়ানও নেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণই এলাকার ঝামেলা। এর মধ্যে অন্য কোনও অনুষঙ্গ নেই। পুলিশ গোটাটাই তদন্ত করে দেখছে। অভিযোগ এসেছে বাইক ভাঙচতুর করা হয়েছে, মহিলাদের গায়েও নাকি হাত দেওয়া হয়েছে। সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, আসানসোল পুলিশ সূত্রে খবর, পুজোর দিনগুলিতে মহিলাদের সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার এন সুধীর কুমার জানিয়ছেন, আসানসোলে ৫ জন এবং দুর্গাপুরে ৩ জন, মোট ৮ জনের এই বিশেষ মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়ে দলটি গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই বিশেষ দলে পুলিশের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বিশেষভাবে চালু করা হয়েছে একটি হেল্পলাইন নম্বর (৭৪০৭৪ ৫১০৯১) । পুজোর পরেও সক্রিয় থাকছে ‘শক্তি’। গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্য়ামেরায়। অপরাধ দমন করতে কড়া পদক্ষেপ করেছে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেট।
আরও পড়ুন: Price Hike: বাজারে চঞ্চলা লক্ষ্মী, আরাধনার আগেই পকেটে ছ্যাঁকা মধ্যবিত্তের!