আসানসোল: পায়ে-পায়ে বচসা! পেট্রোপণ্য ও জ্বালানীর মূল্যবৃ্দ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূলের মিছিল। সেই মিছিলেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলেন দুই মহিলা তৃণমূল কর্মী। কুলটির নিয়ামতপুর জিটি রোডের ওপর দেখা গেল ওই দুই মহিলা কর্মী একে অপরের সঙ্গে কার্যত হস্তযুদ্ধে মেতেছেন! একে অপরের চুলের মুঠি ধরে রীতিমতো টানাটানি করছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল জিটি রোড।
তৃণমূলের অন্য়ান্য দলীয় কর্মীরা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত ঝামেলা থেকেই ওই দুই তৃণমূল কর্মী এমন কাজ করেছেন। এদিন, কুলটির লছিপুর থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অধিকাংশই মহিলা ছিলেন। মিছিলে যাওয়ার সময়ে আচমকাই পায়ে পা জড়িয়ে যাওয়ায় কার্যত বচসা সেখান থেকে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ওই দুই মহিলা।
দেখা যায়, একজন আরেকজনের চুলের মুঠি ধরে রীতিমতো পিঠে কিল বসাচ্ছেন! অপরজনও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন! তিনিও পাল্টা মহিলার ঘাড় ধরে ঝাঁকানোর চেষ্টা করছেন! তাঁদের নিরস্ত করতে ছুটে এসেছেন অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা। কিন্ত কে শোনে কার কথা! অনেক চেষ্টার পর অবশ্য় সেই দুই মহিলাকে আলাদা করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনায় কুলটি তৃণমূল নেতা বাচ্চু রায় বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ওই দুই মহিলার ব্যক্তিগত ঝামেলা। এইসব ছোটখাটো জিনিস সংবাদমাধ্য়মে অপপ্রচার হয়ে আন্দোলনকে দিশাহীন করার চেষ্টা করছেন। এইধরনের ঘটনা সম্প্রচার হওয়া উচিত নয়। দুই মহিলার পায়ে পা লেগে যাওয়া থেকে বচসা। এর মধ্য়ে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। আমরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক।”
পাল্টা, কুলটির বিজেপি মন্ডল সভাপতি অমিত গড়াইয়ের কথায়, “যারা নিজেরই সুশৃঙ্খল নয়, তারাই রাস্তার উপরে মারামারি করে। তারা আবার বেরিয়েছে মিছিল করতে। যাদের নূন্যতম রুচিবোধ বা ভদ্রতাবোধ নেই তাদের থেকে বাংলার সাধারণ মানুষ আর কী শিখবেন!” প্রসঙ্গত, কুলটিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কোনও ঘটনা নয়। এর আগেও একাধিকবার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি সামনে এসেছে।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: টিকা নিয়ে রক্তারক্তি, বঙ্গ জুড়ে অনিয়ম, গাফিলতি কোথায়?