Coal Scam Case: গরু-কয়লা মামলায় বিস্ফোরক অভিযোগ, কড়া পাহারায় বিকাশ মিশ্রকে তোলা হল CBI আদালতে
Coal Scam: কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রেরই ভাই এই বিকাশ মিশ্র। বিনয় এখন দেশ ছেড়ে দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াটুরে।
পশ্চিম বর্ধমান: ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল বিকাশ মিশ্রের (Bikash Mishra)। সোমবার আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালত তাঁকে চারদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। প্রথমে কয়লাকাণ্ডে (Coal Scam) নাম ছিল বিকাশ মিশ্রের। পরে সেই মামলায় যুক্ত হয় গরু পাচার মামলাও (Cow Smuggling Case)। গত ৮ এপ্রিল বিকাশ মিশ্রকে আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে পায় সিবিআই। সোমবার সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই ফের বিকাশের আইনজীবী আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেন। তবে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাতে সম্মতি দেননি। চারদিনের জেল হেফাজত দেন বিকাশ মিশ্রকে। এদিন মূলত গরু পাচার মামলায় সওয়াল জবাব চলে এজলাসে। চারদিন পর ২২ এপ্রিল ফের তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে। সেদিন কয়লা পাচার মামলার শুনানি রয়েছে সিবিআই আদালতে।
এদিন কড়া পুলিশি পাহারায় আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় বিকাশ মিশ্রকে। এই মামলায় তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি সিবিআইয়ের। তাঁকে নানা প্রশ্নের জালে ফেলে নতুন নতুন তথ্য তুলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও এদিন বিকাশ মিশ্রর জামিনের আবেদন করে তাঁর দুই আইনজীবী শেখর কুণ্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, হেফাজতে জেরা করেও তেমন কিছু পায়নি সিবিআই। পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার বলেন, তাঁরা বিকাশকে হেফাজতে চাননি। তবে বিকাশের জামিনের বিরোধিতা করেছেন। আগামী ২২ এপ্রিল গরু পাচার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। এদিন আদালত থেকে বিকাশ মিশ্রকে আসানসোল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকাশ মিশ্রকে আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে জেল থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল। এরপর তাঁকে আর কোনওভাবেই আদালতে হাজির করানো যাচ্ছিল না। এদিকে গত মার্চেই বিকাশের ৯০ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই আদালতে তাঁর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু তা নাকচ করে দেন বিচারক। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আগে তাঁকে আদালতে হাজির করতে হবে। এরপর বহু কাঠ খড় পুড়িয়ে ৮ এপ্রিল বিকাশকে আদালতে হাজির করানো যায়।
কয়লাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রেরই ভাই এই বিকাশ মিশ্র। বিনয় এখন দেশ ছেড়ে দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াটুরে। তবে বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার টাকা প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ভার ছিল বিকাশের হাতেই। সিবিআই প্রথম থেকেই বলে এসেছে, কয়লার ‘কালো’ টাকা কলকাতার প্রভাবশালীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া কিংবা প্রভাবশালীদের একাংশের টাকা কীভাবে এই কয়লার ব্যবসায় ঢুকেছে তার পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন এই ‘মিশ্র ভ্রাতৃদ্বয়’। বিনয় ও বিকাশের একাধিক ভুয়ো ব্যবসা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেই ব্যবসাতে এই কয়লার টাকা খাটানো হত বলেই জানতে পেরেছে সিবিআই। সেই টাকার হদিশও গোয়েন্দারা পেয়েছেন। কয়েক কোটি টাকা বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে।