Raju Jha Murder: ‘আমি মুখ না খুললেই সকলের মঙ্গল’, পুরনো ভিডিয়োয় কাদের কথা বলছিলেন রাজু ঝা?
Paschim Burdwan: রাজু ঝাকে ইডি দিল্লিতে তলব করেছিল ৩ এপ্রিল। ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে খুন হন তিনি।
রাজু ঝা খুনের মামলার তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশের সিট। নেতৃত্বে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। বিরোধীদের দাবি, এই ভিডিয়োটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিচার করুক তদন্তকারীরা। শাসকদলও চায় তদন্ত চলুক নিয়ম মেনেই। প্রসঙ্গত, ইডি রাজুকে দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিল সম্প্রতি। ৩ এপ্রিল দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তার আগেই শক্তিগড়ে রহস্যজনকভাবে খুন হন তিনি।
দুর্গাপুরের কংগ্রেস নেতা তরুণ রায়ের প্রশ্ন, “মুখ খুললে রাজুর সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদের বিপদ হতো। সেখানে রাজনীতির প্রভাবশালী লোকজনও থাকতে পারে। আমি রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করব দুর্গাপুর থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত এই মৃত্যুকে ঘিরে যে নাটক তৈরি হল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দরকার।”
অন্যদিকে সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “অনেকেই মনে করছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকলে ওর মুখ থেকে অনেক কিছু বেরিয়ে যেতে পারে। ঘটনা পরম্পরা দেখে তো তাই মনে হচ্ছে।” শিল্পাঞ্চলের বিজেপি নেতা লক্ষ্মণচন্দ্র ঘড়ুইয়ের বক্তব্য, “উনি যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁকে ঘাটালে অনেক কিছু ঘটতে পারে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর উনি যখন এরকম কথা বলছেন, তার মানে সিপিএম তৃণমূলের আমলে যা তিনি করেছিলেন, সেরকম কিছু হয়ত ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তদন্ত হোক।”
যদিও তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের বক্তব্য়, “এ ইঙ্গিত কাদের দিকে তা তো রাজু ঝা একমাত্র বলতে পারতেন। তবে একটা ঘটনা বলতে পারি, যখন তিনি বিজেপিতে যান, তাঁকে তো কেন্দ্রীয় সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল বিজেপির। তখন তিনি সব কথা খুলে বললেন না কেন? ওনার তো মুখ খোলা সহজ ছিল।”